দেউল আলোকমালায় সজ্জিত আজ,
শত শত ভক্তের সমাগম।
নানারকম ব্যঞ্জনের সুবাসে সুবাসিত চারিদিক
ভক্তের প্রসাদের আয়োজন।


ষাটোর্ধ্ব এক শীর্ণকায় ভিখারী উপস্থিত দেউল প্রাঙ্গণে।
প্রার্থনা,হয় তো জুটবে তৃপ্তি ভরা আহার বহুদিন পরে।
কোটর হতে বেরিয়ে আসা চোখে তার উজ্জ্বল দীপ্তি,পেটে রাক্ষুসে ক্ষুধার অপেক্ষারত নির্বাসন।


এমন সময় সচকিতে প্রহরীর কণ্ঠস্বর,
একশত টাকার কুপন না দিলে, মিলবে না ভগবানের প্রসাদ।
মিলবে না ভগবান দর্শনের অনুমতি।


ভিখারী বলে ওঠে, বহুদিন ক্ষুধার্ত আমি, হতভাগা এক পিতা।
বহুদিন জোটেনি ভালোমতো আহার।
একশত টাকা তো নেই,উচ্ছিষ্ট যা থাকবে তাই চাই,
সেটাই আমার কাছে উপহার।


প্রহরী বলে ওঠে, ডাস্টবিনে গিয়ে বসো তবে ওখানেই উচ্ছিষ্ট জমা হবে।
মন্দিরে ভিতরে কোনো ভিখারীর জায়গা নেই।


ভিখারী বসে থাকে ডাস্টবিনে,
জমা হতে থাকে পাহাড়প্রমাণ উচ্ছিষ্ট।
গোগ্রাসে গিলতে থাকে সে,
তৃপ্ত ভিখারীর রুক্ষ পেটে তখন নেমেছে অঝোর শ্রাবণের বর্ষা।


কাতর ভিখারীর মনে প্রশ্ন জাগে... সেতো মন্দিরে প্রার্থনা করেছিল আহারের, কিন্তু পেলো এই  ডাস্টবিনে...
তবে কি গরীবের ভগবান আজ ডাস্টবিনেই উপবিষ্ট।