ঘরের কোণে আছি বসে জীবনটাকে বুকে ধরে,
মৃত্যু যেন আসেনা আর কেড়ে নিতে জীবনটারে।

মধ্যবিত্ত মানসিকতায় জীবনটাই তো আজকে বড়ো,
লকডাউনে লুকিয়ে আছি পারলে কোভিড খুঁজে মারো!


বাইরের রাজ্যের শ্রমিক গুলো আসছে ফিরে আজকে ঘরে,
মানুষগুলো পায়নি খেতে থাকবে সেথায় কেমন করে?  


ঘরে ফিরেও নেইকো শান্তি পারছেনা ঢুকতে তার বাড়ি,
থাকতে হবে কোয়ারান্টাইনে হয়েছে তার ফরমান জারি।


হচ্ছে ওদের করোনা রোগ তারজন্য কি ওরা দায়ী?
কি অবস্থায় ছিলো ওরা বুঝেছে তা ঐ পরিযায়ী!  


সন্তানটি তার কাঁদে ঘরে মুখে বাবা বাবা বলে,
ইচ্ছা থাকলেও নেই তো উপায় নেয় যে তারে কোলে তুলে।


বউয়ের মুখটায় চমক লাগে ঝরে দুচোখেতে  জল,
কি করুণ মুখখানি যে তার অশ্রু ভরা বড়ো ছলছল!


বুড়ো মা-বাপ আসেনি কাছে দেখতে পারবেনা এ কষ্ট,
কেন হলো এমন প্রভু বলো আল্লা হে দেব ইষ্ট?  


জানেনা তারা হবে কি ফেরা আইসোলেশন চৌদ্দ দিন করলে পার?
সংক্রমণ ছড়াচ্ছে যে গতিতে পাবে কি তারা এর থেকে নিস্তার!  


হয়তো এথায় হবে সব শেষ লেখা রবে গ্রামে ঠিকানা,
একটাই শান্তি চোখ মুদলো সেই গ্রামে চির চেনা জানা!