তখন আমি তো বেশ ছোট একটু একটু মনে পড়ে
কাল বৈশাখীর হাওয়ায় ঘুঘু পাখিটা গেছিলো পড়ে।


আমার উপরের দাদাটা গেছিলো আম কুড়োতে ঝড়ে
দেখতে পেয়েই ঘুঘুটারে নিয়ে এলো সে মোদের ঘরে।


ভিজে গেছিলো সারা শরীর কাঁপছিলো পাখিটাতো ভয়ে  
মুছিয়ে দিয়ে সারা শরীর পরালো গরম জামা গায়ে।


একটু যেই বাড়লো শ্বাস হলো পাখিটা স্বাভাবিক
দূর থেকে দেখে আমার জাগলো মনে খুশির ঝিলিক।  
      
এভাবেই কাটলো দুদিন রাখলো ছোড়দা চোখে চোখে
নিয়ে এলো এক নয়া খাঁচা শক্ত পোক্ত যাতে টেকে।


বাড়ি ভরা বিড়াল কুকুর এদেরকেই তো যত ভয়      
খপ করে ধরবে টুটিটা একটুও নিরাপদ নয়।


আস্তে আস্তে হলো বড় দাদা আমি দুজনে-ই খুশি      
ডাকতো সুন্দর ঘু-ও-ঘু প্রজাতিটা একদম দেশি  ।  
        
ওর স্বরে ছিলো মিষ্টতা মনটা হয়ে যেত উদাস  
কোথা যেন হারিয়ে যেতাম লাগলে গায়ে ঠাণ্ডা বাতাস।  

কাটছিলো বেশ সময়টা পাখিটাকেই সাথেতে নিয়ে
খুঁজছিলাম পাত্র আমরা দিতে চেয়ে ওর বিয়ে।

পাওয়া গেলো না কোনো পাত্র থাকলো সবাই দূরে সরে
অবশেষে ওর বয়স হলো গেলো সে আমাদেরকে ছেড়ে।


কাঁদলো সেদিন দাদা খুব চোখদুটো  হয়ে গেলো লাল
সে দাদাও হঠাৎ গেলো চলে একে বলে মন্দ কপাল।