বিয়ের সাজেতে সোনামণি আজ লাল চেলি গায়ে,
লাগায় আলতা সোনামণি তার রাঙা দুটি পা-য়ে।
কিচিরমিচির শব্দে গাইছে গান পাখির দল,
মেঘ মল্লার রাগে  দূর হলো সব কোলাহল।
হাসছে সব খিলখিলিয়ে করছে  হৃদয় জয়,
শুভদিনে এসেছে সবাই কাটে মোর সব ভয়।
সারারাত থেকে সব দেয় আশিস সোনার শিরে,
এনে উপহার দেয় ভালোবাসা বুক উজার করে।
লাল সাজে লাগছে বেশ লাজে লাল মুখ সোনার,
কিছু পরে সোনা আমার হবে যে পর  সবার।
এলো বর সানাই বাজিয়ে বর যাত্রী সাথে নিয়ে
উলুধ্বনিতে ভাসলো বাসর শুরু হলো এ বিয়ে।
পুরুত মশায়ের মন্ত্রে হলো শেষ বিয়ের কাজ,
পালকি চড়ে রাখলো পা শ্বশুর ঘরে  প্রথম আজ।
ঐ ঘরে তিন রাত কাটলো না তার হলো তা পর,
অর্থের লাগি শাশুড়ি করলো শুরু চড় থাপ্পড়।
ভাবলো এর চেয়ে ঢের ভালো মোর বাপের বাড়ী,
ফিরে এলো মায়া কাটিয়ে চটজলদি তাড়াতাড়ি।
ঘরে এসেছে নতুন বউ সে অন্য বাড়ির মেয়ে,
ভালোবাসি অধিক আমরা নিজের মেয়ের চেয়ে।
কইনি কভু আনরে টাকা মা-বাপের বাড়ি থেকে,
নইলে পুড়াব আমি যাবি এ  ভবের মায়া  ছেড়ে।
নারী নারীকে পুড়ায় কেমনে ঘটে এ সংসারে,
বিধাতা দিও আশিস(?) যাবে তোমার কাছে ঐ পারে!
আইনের চোখ পৃথিবীর পারে না  শাস্তি দিতে,
দড়ি টানাটানিতে কাটে বছর খুলেনা লাল ফিতে।
ধন মান  ধূলায় মিশে এই দেশ যায় পিছিয়ে,
কবিতায় প্রতিবাদে নিই হৃদের ব্যথা  জুড়ায়ে।