থাকলে মনটা ভালো ওরে লিখতে পারি অনেক,
মনটাই আসল তাইতো দাঁড়াই মনের কাছে ক্ষণেক।


মনটা ছটফট করতে থাকে থাকি কলম নিয়ে বসে,
আকাশ পাতাল খুঁজে ফিরি শূন্য এসে দাঁড়ায় হেসে।


প্রশ্ন করি শূন্যকে আজ বলো কেন হলো এ হাল?
ছিলাম সারদা বন্দনায় করেনি কি দেবী খেয়াল?


দেবীর ভরসায় লিখি পড়ি রাখি তাঁরে মাথায় তুলে,
কেন দিলো সে এমন শাস্তি কেন চড়ালো আমায় শূলে?


মিথ্যা আশ্বাস কেন দিলে কেন দেখালে আমায় স্বপ্ন?
ছিলাম বেশ তোমাতে ব্যপ্ত ছিলাম তোমার ধ্যানে মগ্ন।  


আমি তোমার ছোট্ট সোনা ছিলাম তোমাতে অনুরক্ত,
পুঁথি পাঠে ছিলাম মগ্ন আমি তোমার ক্ষুদ্র ভক্ত।


ছিলোনা আশ কভু আমার হই শিল্প কলায় ব্রতী,
ছিলাম খুশি পুঁথি পাঠে তাতেই ছিলো সদা মতি।  
    
সেদিন হঠাৎ ডাকলে আমায় গভীর রাতে স্বপ্নে কাছে,  
বললে আমায় নয় এটা পথ দেখ তাকিয়ে তোর পিছে।


চেয়ে দেখি নজরুল রবি কইছে কি যেন কথা,
বলছে আমায় লিখে যা তুই ব্যথা ভরা কাব্য গাঁথা।


তোরে ছেড়ে যে গেছে চলে অভিনয় ভালোবাসার করে,
তার কথা লেখ তোর কলমে আর সবকিছু সরিয়ে দূরে।


প্রাণ ডালা সব শব্দ দিয়ে গাঁথরে তুই প্রেমের মালা,
তোর কবিতায় হয়ে পাগল আনবে বয়ে বরণ ডালা।


হবেরে তোর আশা পূরণ গড়বি সংসার সুখের,  
থাকবেনা আর ব্যথা বেদন হবি মহান এ জগতের।


ভাঙলো হঠাৎ ঘুমটা আমার খুঁজে চলি নজরুল রবিকে
দুঃখ পেলাম হারিয়ে আজ লাগলো আঘাত এ বিবেকে।