অনেক দিন হল ধরি নি কলম
           তাই লিখছি রুলে,
স্কুলে কাটনো দিনগুলির কথা
          যাব না কখোনো ভুলে ।
সামনের বড় সেই সদর গেটটি
             রংটি তাহার সবুজ
ছোটো ছিলাম আমি, টিকত না মন
          মনটা যে ছিলো অবু্ঝ,
নিচতলার সেই সারি সারি ঘর,
         আর সারি সারি বেঞ্চগুলি
ব্যাগে থাকত বই, সাথে থাকত খাতা
        আর পেন, পেন্সিল, তুলি
সামনের সেই ঝাউএর বাগান
           ফুলের গাছে ফুল
নিজের ক্লাসে ঢুকতে আমার
            হতনা কখনো ভুল
তিনদিকে ছিল তিনতলা রুম
           পেছনে বড়ো মাঠ
চারদিকে শুধু গাছের সারি
          তার মাঝে মোদের পাঠ
পিছনদিকেও ছিল তিনতলা রুম
           আর ছিল পাঠাগার
পায়ে হেটে স্কুলে আসতে
            লাগতো না ভালো আর


সামনে রয়েছে বড় আমগাছ
         আর রয়েছে বকুল
গাছের নিচে পাড় বাঁধানো
         গন্ধে সবাই আকুল
বাগানের বেড়া, পাতা বাহারে ঘেরা
      তার পাশে ছিল গোলাপ
স্কুলে প্রত্যেকদিন বন্ধুদের সাথে
        হত সবার আলাপ
তিনতলার সেই বড়ো লাইটটি
        রোজ রাতে দিত আলো
সেই আলোতে স্কুলকে দেখতে
            লাগত খুবই ভালো
দোতলায় প্রধান শিক্ষকের ঘর
       তার উপরে ছিল ছাদ
সেখান থেকেও তার নজর থেকে
        কেউ পড়ত না বাদ
আমাদের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল স্যার
        ছিলেন মন থেকে খুব ভালো
তাঁর আমলেই বিদ্যালয়ে এসেছিল
                শতবর্ষের আলো ।।
                                     --প্রদীপ কুমার সুতার