-------।।কচি ধান মাঠে।।----


চলেছি অনেক দুরের পথে,কোন এক দুরদেশে
সদ্য লাগানো কচি ধান মাঠে, সাজানো দুই পাশে।
থামিয়েবাইক,গাএলিয়ে,পাদুলিয়ে অল্প কিছু ক্ষন
হাল্কা মেজাজে রাস্তার দুইপাশ করছি নিরীক্ষণ।
কাদামাখা মাঠে নুয়ে ধান পোঁতে  নব্যযুবক চাষী
পাশেই ঝুঁকে পুঁতছে ধান-সঙ্গী চাষির ঘরনী
পিঠে বাঁধা ঘুমন্ত এক শিশু-এক্কেবারেই কচি
আল পথে রাখা,পুঁটলি বাঁধা পান্তা,আর জল এক কলসী
জমি জুড়ে আঁটি ধান বীজ আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
রুয়ে চলেছে সবে গিজগিজ খিদে পেটে,বুকে তেষ্টা নিয়ে।
হঠাৎ থেমে যেতে পারে শ্রাবনের বারিধারা-
জ্বলে যেতে পারে ধান,হতে পারে সব অধরা-
সকাল বিকেল মাঠে কেটে যায় সারাদিন তাই
এতই ব্যাস্ত নাওয়া খাওয়ার কোন সময় নাই
কত ঘাম,নোনা জল কত মিশে যায় কাদামাঠে
রক্তবিন্দু গড়ায় কত শত-ছোট খাটো সব চোটে
হুশ নেই ব্যাস্ত চাষির,যেন হুশ থাকা চলে না-
এ বড় কঠিন সময়, কখনো থেমে থাকা যায়না-
শ্রাবনের বারিধারা আছে আজ- কাল থাকবে তার ভরসা আছে কি?
সেচের যা হাল জলাধার থেকে সদা জল পাবে কি?
চাষির যখন চষিছে জমি করিছে দিবারত প্রানপন-
পেট ভরা চাই-ফসলের দাম ফড়েদের হাতে-পাবে কি পরিত্রান?
ফড়েরা আবার নতুন রুপে এনেছে বহুজাতিক
প্রার্থনা মোদের রক্ষা করো আমরা গরিব চষি প্রান্তিক।
-----------+++++++++++-----------