যেদিন রেগেমেগে জেদ করে উঠেছিলাম ডাব গাছে
মা ঠাম্মি ছুটে এসেছিলেন- ' সর্বনাশ বুঝি পাছেে !'
ভয়ে কাঁটা, শীতল দেহে মা ছিলেন থ মেরে
তুলসি কাঠিতে হরিনাম ঠাম্মি এক নাগারে ।
যে দাদুর ঠাট্টা-মানেে আমার এই সাধন
তাঁর সাথে ছিল আমার একই রক্তে বাঁধন
আমি যখন গাছের মাথায়, উনি তখন জড়ে
নেমে এসে শাাসিয়েছি 'দুবার এভুল না' করে
পাাশের দু-চারটে মেয়ে-বউ দিয়েছিল করতালি
মা এসে এক থাবরা, ঠাম্মির মুখে গালি -
'বাপের জন্মে দেখিনি এমন ডানপিটে মেয়েছেলে'
হেসে উঠে দাদুর ইঙ্গিত 'আবার জবাব পেলে' !
শিশুসুলভ আচরনে ছেলেমানুষি শুনি
মেয়ে হয়েও আমরা ছেলে নাম বুনি !
বাল্যকাল তুলে ধরতে বলে ছেলেবেলা
আর কতদিন তুচ্ছ হয়ে সইবে এমন খেলা !
অল্পবয়স্ক অপরিণত বুদ্ধি- ছেলেমানুষ আখ্যা
তুমিতেও তুমি নেই- তুমি কি দেবে এর ব্যখ্যা !
সন্তান-সন্ততিদের সব ছেলেপিলে বলে
আর কতদিন রইব আমরা ছেলেরুপ ছলে !
ছেলেধরারা কি শুধুই ছেলেদেরকেই ধরে
আরও যত থাকবে চুপ, চড়বে ঘাড়ে পরে !
ছেলেভুলানো ছড়া-গল্পে ভুলিয়ে রেখেছে ওরা
আর কতদিন এত রুপেও রইবে মুখ পোড়া !
আজ আমি,
নিজের পায়ে, সাবলম্বি তবু নাকি 'মেয়েছেলে' !
সোজা হয়ে দাঁড়াই কেমনে ঠেকনা নে পেলে !
ওহে নারী,
তুমিতো মেয়ে, তবে কেন তোমাতে জুড়ে ছেলে
আর কতদিন চলবে তুমি অন্যের বোঝা ঠেলে ?
ওহে সমাজ,
তুমিতো সমাজ, কি দিতে গিয়ে কি দিলে !
ভেবে দেখ- তুমিও ঘোমটায় 'মেয়েছেলে' !