- একি গো তুমি, উঠে গিয়ে এভাবে বসলে ঘুরে?
- নইলে তোমার সুন্দর মুখটা রৌদ্রে যে যায় পুড়ে।
ওরে মেয়ে তোর কপালটা সত্যি করেছিস ভালো!
সৌন্দর্য্যেও দাগতে দেবে না এক চিমটে কালো।
তাইতো তোর ঠোঁটের কোণে লেগেছে আলতো হাসি
সারাটা জীবন সঁপেই দিলি, করে ভাসাভাসি।
নিশ্ছিদ্র নিরাপওায় - ভেবেই নিলি তুই বসে!
আর একবার দেখলি না -  সঠিক অঙ্ক কষে?


বুঝছিস আজ, পাটিগণিতেও কতটা ছিলি কাঁচা
ছায়া নয়; চারিদিকে তোর ঘিরে দিয়েছিল খাঁচা।
ওরে মেয়ে, আখেরে - তুই যে একটা নারী
নিরাপওার শেষে কখনই দেখবি নাকো দাঁড়ি।
অন্যের সম্পদ হয়েই, স্বার্থ-সাধনে  তুই যতদিন
নিরাপওার নামে আড়ালে-আবৃতে ভাববি ততদিন।
দমবন্ধ থেকে বেরতে গিয়ে-  তাঁর হাতের মুঠো খুলে
দেখলি- ফুঁসে ফুঁসে কেমনে উঠছিল সে ফুলে?
মুখোশ খুলে বেরতে দেখলি তাঁর আসল আদল
তুই নাকি বর্ষা ছিলি, ওই ছিল তোর বাদল!


ওগো নারী, পুরুষ ছায়া -  সত্যিই অপ্রতুল!
নিরাপদ ভেবে, আর করবে কি আবার কোন ভুল?
সে যে পুরুষ বৃক্ষ নয় -  শুধু শীতল ছায়া দেবে
অত:পরে, বুঝলে না হায়-  কতটা সে নেবে!
ছায়ার ছুতোয় শিকড় বাড়িয়ে রুপে রসে শোষণ
অন্যদিকে গুণ-গন্ধেও নারী করবে তোমায় হরণ।
মাতৃত্বের সন্মান, বোঝো কেন  তোমার জন্য?
নারীত্বের সন্মানেই; হায় তুমিও নারী ধন্য!
মাতৃত্ব-বোধ দিয়ে আখেরে গোছায় ওরা
এত শিক্ষার পরেও কেন বোঝে না মুখপোড়া!
পুরুষ-রুপী সমাজে তুমি যে নিরাপওার হলি
আর কতদিন চৌকাঠে নিজেকেই দেবে বলি?


                   ------------