চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ অন্যের আলোকে আলোকিত
অমাবস্যায় নিশুতির কালো রাত গ্রহণে রাহুর ভয়ে ভীত !
চাঁদ তব জ্যোৎস্না ; রাতের আকাশে পৃথিবী বক্ষে তুমিই দাও আলো
চাঁদ তব স্নিগ্ধতা ; স্নিগ্ধমাখা মলিনতায় ডুবি ফুরফুরে মন ভালো
চাঁদ তুমি মামা ; শিশুর ঘুম পাড়ানিতে , কপালে উজ্জ্বলতার লয় -
চাঁদ তুমি স্রোতে ; তব অভিকর্ষ ব্যতি নীল বক্ষে কেমনে জোয়ার ভাঁটা বয় ?
কলঙ্কিত তুমি চাঁদ
চাঁদ তুমি একমাত্র , চাঁদ তুমি চাঁদ
কলঙ্কিনী নিষ্কলঙ্কে , তোমা বিনা পবিত্রতা করবে আর্তনাদ ।
পচাগলা জীবানুপূর্ণ দুর্গন্ধময় জৈব-অজৈব নোংরা আবর্জনায়
দূষিত শ্রেষ্ঠ আখ্যা লয়ে বাহিছ স্রোতের তাড়নায় ।
গঙ্গা তুমি পবিত্র ; তব বিন্দু ব্যতি রহিবে অসম্পূর্ণ পূজা কার্য
গঙ্গা তুমি দেবী ; অবারিত ধারে জানোনাকি হে তুমি কার শিরধার্য
গঙ্গা তুমি মা ; সর্প দংশনে – তুমিই আশা – শস্য শ্যামলে ধরা
গঙ্গা তুমি পুণ্য ; তব স্নানে শুদ্ধি দেহ – তবেই পিন্ড দান করা ।
কলঙ্কিত তুমি গঙ্গা
গঙ্গা তুমি একমাত্র , গঙ্গা তুমি গঙ্গা
কলঙ্কিনী নিষ্কলঙ্কে , তোমা বিনা পাল্টে যাবে পবিত্রতার সংজ্ঞা ।
গর্ভধারনে যৌনাঙ্গ উৎসর্গ ভূমিষ্ঠে সন্তান গোপনাঙ্গজাত
সতীর সতীত্বে লজ্জা নিবারণ বংশস্রোতে দাগি কলঙ্কিনী ক্ষত !
মায়ের সন্তান ; মায়ের আদর স্নেহ ভালবাসা শুধুই সন্তানময়
মায়ের নাড়ির টান ; দশমাস দশ দিন গর্ভেধারন কখন ভুলিবার নয়
মায়ের আঁচল ; শীতলতায় - ফেরায়ে লয় যমের দুয়ার হতে
মায়ের ভাষায় ; প্রথম বুলি – মাতৃভাষা কোলের আদর খেতে খেতে ।
কলঙ্কিত তুমি মা
মা তুমি একমাত্র , মা তুমি মা
কলঙ্কিনী নিষ্কলঙ্কে , তোমা বিনা পবিত্রতা সর্গেও হয় না ।