প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের  চতুর্থশ্রেণী  কক্ষে
প্রথম তোমায় দেখেছিনু নিজেরই স্বচক্ষে ।


তখন আমি,  আমার  গাঁয়ের  সুদূর  কোন প্রান্তে
কে আপনি? কিই-বা লেখেন? ইচ্ছে ছিল জানতে -


সাদা ধুতি পাঞ্জাবিতে অতি সাধারণ একজনা
পরক্ষণেই বহিঃপ্রকাশ তাঁর অসাধারণ ভাবনা !


নামহীন কোন সংস্থার কেবল একটি আমন্ত্রণে
ছুটেছিলেন  কোন  প্রান্তে  শুধুই নীরেন্দ্রনাথনে ॥


সাহিত্যের চেতনা দিকেদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য
ভ্যান  চড়ে  পৌঁছেছিলেন , হে  শ্রদ্ধেয়  - তুমি ধন্য ।


জনা ছয়েক উদ্যোগক্তা আর  জনা  ষাটেক  দর্শক
তারই মধ্যে চিনিয়েছিলেন - কেন তিনিই রোম হর্ষক?


গড়গড়িয়ে  অওরাচ্ছিলেন  তাঁর  স্বরচিত  ছড়া
সেদিনই তিনি নাড়িয়েছিলেন এই দরজার কড়া ।


প্রতিটি  ভাষায়  ছন্দ  আর  মিষ্টি  সরল  ভাষা
বুঝিয়েছিলেন কোন খানেতে কোকিল বাঁধে বাঁসা !


সেদিন ছিল বাইশে শ্রাবণ , জানলায়  আমি  অমল
দইওয়ালা, রাধারানী পেরিয়ে চোখে- ছিল শুধু কমল ।


মনে পরে ,  তখন  আমি বয়সে খুবই ছোটো
প্রণাম নিতে বলেছিলেন - ' বড়ো হয়ে ওঠো ' ॥


মনে পরে  কবেকার  সেই  ছোটবেলার  কথা
আজ শতকোটি প্রণাম জানাই, হৃদে লয়ে ব্যথা ।


হয়েছিল  তোমার  চরণ  স্পর্শ করার ভাগ্য
ফুরালো কালি, প্রভু - তোমার কলম আরোগ্য ॥