সারাটা দিন ঝিরি ঝিরি / বহিছে শ্রাবন ধারা
প্রকৃতি… পরিমলে / প্লাবিত প্লাবন পারা ।
এক হাঁটু জলের তলায় / মাঠ -ঘাট -পুকুর
থৈ থৈ বৃষ্টি ভেজা / মিষ্টি মেঘলা দুপুর ।
বাদাড়ের কচু গাছগুলি / পলকা হাওয়ায় নড়ে
বুক চিতিয়ে আঁচল পেতে / আকাশের জল ধরে ।
দূর্বার দলগুলো সব / ডুবে জলের নিচে
জমা শ্যাওলায় পা পরে / পিছলে যায় পিছে ।
রাস্তার পাশের হোল কমলি / লতিয়ে উঠে গাছে
ঝোপ ঝাড়ের সবুজে / সবুজ মিলিয়ে আছে ।
কাদায় প্যাচ প্যাচে / খন্দের জমা জলে
রাস্তার পাড়েতে ধস / নেমেছে তলে তলে ।
গলা ফুলিয়ে ব্যাঙ্গমা / ডাকে গ্যাঙর গ্যাঙর
ডিম আগলে ব্যাঙ্গমীর / কাটছে দেখ প্রহর ।
শোল – ল্যাঠার চারাপোনা / চরছে ঝাঁকে ঝাঁক
মা নিজেকে লুকাতে খোঁজে / ঝোপ ঝাড়ের ফাঁক ।
সাপ চলে এদিক ওদিক / আঁকা বাঁকা চলনে
মাঝে মধ্যে অঘটন / ভাগ্যের প্রতিফলনে ।
দূরে ঐ গাছের পরে / শালিক দেয় গা ঝারা
দমকা ঝড়ে বাঁসা ভেঙে / সে যে কুঠি হারা ।
পিঁপড়ের দল সারি দিয়ে / চলে নতুন ঘরে
খাবারের খোঁজে অজানা / প্থ গুলো ধরে ।
হাঁস গুলো সারি বেঁধে / জলেতে দেয় ডুব
প্যাঁক প্যাঁক গলা ছেরে / মাতে আনন্দেতে খুব ।
ঝপাৎ ঝপ জাল ফেলে / জেলে বৃষ্টি ভিজে
জাল ঝেড়ে মাছ কুড়িয়ে / রাখে নিজে নিজে ।
মাঠের মাঝে একাকী / তাল গাছটা দাঁড়িয়ে
আকাশ পানে করতে খেলা / মাথাটা দেয় বাড়িয়ে ।
গ্রু গুলো ভিজে ভিজে / রাস্তার ধার ধরে
গাছ পাতা যাই পাচ্ছে / খাচ্ছে মুরে মুরে ।
গাছের তলায় রাখাল বালক / বসে অদূরেতে
ছাতা মাথায় তাকিয়ে আছে / জল ভরা ক্ষেতে ।
চাষিভাই ভাগের মাঠে / ষাঁড়ের পাঠে নাঙল ধরে
গিন্নী দূরে মজুর পরে / ধানের চারা রোপণ করে ।
দূরে ঐ ফুঁসছে নদী / ভাঙবে জলের তোড়ে
পাড়বাসীর ঘুম ভেঙেছে / আতঙ্কে কোন ভোরে ।।
__________