বলি,কানাগলি থেকে রাজপথ কিংবা
প্রান্তিক জনপদ থেকে ব্যস্ত মহানগরী,
সমাজের সর্বত্র আর্থিক বৈষম্য যেন
বাড়ছে দ্রুত লয়ে।
কী ভাবছো বসে?বলছি,দেখছ কী এই
অসাম্যের থেকে ক্ষোভ ও বিক্ষোভ
বাড়ছে বেশ রমরমিয়ে জ্বলন্ত উনুনে
কড়াই-এ তপ্ত তেলে ফুলুরির মতো।
টগবগ করে ফুটছে নিয়ত।
দীর্ঘদিনের সঞ্চিত ক্ষোভ,যতই ভাবো
আবর্জনার স্তূপ,যতই ভাবো-না কেন
সেটি থেকে বেরিয়ে আসছে পূতিগন্ধ।
বলছি,ক্ষতি নেই,বাবুমশাই!তবুও এই
দুঃস্থদের রোষানল নেভানো দুরস্ত,ছাই
চাপা দাওনি এখনো।তুষের আগুনের
মতোই জ্বলছে সর্বত্র।
ভাবছো,কী করছেন বসে বিশ্ব জননী?
তিনি তাঁর মুখে ঘোমটা খানি টেনে মুখ
ফিরিয়ে ঘরে গিয়ে দরজায় খিল এঁটে
দিয়েছেন,সইতে না-পেরে এই অসহায়
মানুষদের উপর শোষকদের অন্যায় ও
অবিচার।রুদ্ধ দ্বার।মা-মা বলে যতই
চিৎকার করে ডাকো এখন মিলবে না
সাড়া।
জানিনা,কী করছে শোষকদের অন্তরাত্মার
প্রহরীরা?তারা কি এখনো কাটাচ্ছে ঘোর
নিদ্রায়?
ওই দেখো,অস্তগামী সূর্য পৌঁছেছে যেন
দিগন্তরেখায়।বিশ্ব-জননীর দরজায় কড়া
নেড়ে জননীর কাছে গিয়ে শোষকদের
তাঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া দরকার।
বলি,ভাববার সময় এসেছে,এই শোষণ,
অত্যাচার চলতে পারে আর কতকাল?