‘এলার্জি’,এ এক বিদঘুটে অসুখ।
রাতদিন চুলকিয়ে ঘা করতে বড়
সুখ।চুলকিয়ে চুলকিয়ে একেবারে
পৌঁছায় পাঁজরের হাড়ে।অন্তর্বর্তী
রক্ত ও মাংসপেশিও নিরুপদ্রবের
হাত থেকে পায় না ছাড়।
বিষম এ ব্যাধি পঞ্চেন্দ্রিয়ে মূলত
নেয় ঠাই।একটু অনুধাবন করে
দেখো,এই উপদ্রবটির মনে বাসা
বাঁধতেও মানা নাই।
এই ক্ষেত্রে ঘটছে অদ্ভুত ব্যাপার।
সুখ ও দুঃখের ব্যাপক মেলবন্ধন।
ভেবে দেখো,কার না শরীরে বাড়ে
হৃৎস্পন্দন?ভাবো,দৃষ্টিনন্দন মুখ
বিকৃত করে গোঁফ চুলকানোর কী
অদ্ভুত সুখ!বলি,সে কথা এযাবৎ
কারো কি রয়েছে অজানা?
এই ব্যাধির উৎসও বহুবিধ।শুনেছি
উৎস খুঁজতেই চিকিৎসকেরা হচ্ছে
নাজেহাল।কারো নানান খাদ্যদ্রব্যে,
কারোর আলোয় কিংবা বাতাসে।
শুনেছি স্বভাবেও নাকি রোগটির
উৎপত্তি।অপরের ভালো দেখলেই
কারো কারো হয় অসহ্য গাত্রদাহ।
সাথে সাথে ব্যাপক চুলকানি।সুখে
থাকতে পারে না মোটে।
সংক্রমক রোগ।সুখী ব্যক্তিকেও
গিয়ে জাপটে ধরে।উপদ্রব কাকে
বলে?তখনি সে টের পায় হাড়ে
হাড়ে।
ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছাড়াও সামাজিক
এই ব্যাধিটির সংক্রমণ ইদানীং
বাড়ছে ব্যাপক হারে।পথেঘাটে,
মাঠে-ময়দানে দেখছি লোকজন
ব্যাপক হারে এই ছোঁয়াচে রোগে
সংক্রমিত হয়ে ভুগছে জ্বরে।