দেখেছি মহী রুহের মতো দেশে তার
শাখাপ্রশাখার মতো সকল জনগণের
আশা ভরসার স্থান গুলো যেন ক্রমেই
শুকিয়ে যাচ্ছে।ভাবি অদূর ভবিষ্যতে
এই সমস্যাটির সুরাহারের আছে কি
কোনও সম্ভাবনা?
বাস্তব অবস্থা দেখে সন্দিহান হলেও
দেশের আইনসভা তীর্থক্ষেত্রের মতো
পবিত্র হওয়া যে উচিত এই ব্যাপারে  
কারো মনে নেই কোনও সন্দেহ।
দেখো,সব দেশের সংবিধান অনুসারে
দেশ মাতার সেবায় সেবাইতের মতো
নিয়োজিত আইনসভার সব সদস্যগণ
যেন প্রত্যেকেই তীর্থক্ষেত্রের সেবাইত
এবং ভোট দানের মাধ্যমে তাদেরকে
নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব বর্তেছে দেশের
জনগণের উপর।
নির্বাচনে ভোট দানের সময় জনগণকে
হয় হ্যাঁ-ভোট প্রয়োগ করে যোগ্যদের
গ্রহণের নীতি কিংবা না-ভোট প্রয়োগ
করে অপছন্দদের বর্জন নীতির মধ্যে
যে কোনও একটি প্রত্যেককে করতে
হয় অনুসরণ।
নীতি দুটি ই প্রকারান্তরে সমার্থক মনে
হলেও বাস্তবে ভিন্ন এবং দুটি ই সমান
গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রয়োগ ক্ষেত্রে বজায়
থাকেনি তাদের ভারসাম্য।তার ফলে
দেশ মাতার সেবায় জুটেছে খুব কমই
সুযোগ্য সেবাইত।
ভেবে দেখো,যদি না-ভোট প্রয়োগের
মাধ্যমে 'আইন সভায় মন্দদের কোনও
ভাবে ঠাই নাই' এই বার্তাটি সকলের
কাছে ঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়া যেতো
তবে ভোটের ময়দান থেকে বহু সংখ্যক
অযোগ্য প্রার্থী নিজে থেকে সরে যেতো
এবং কলুষ মুক্ত প্রার্থীদের সংখ্যাটিও
অনেক বাড়তো।
দুঃখের বিষয় হলেও সত্য এই কাজটি
যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এখনও কার্যকরী
না হওয়ায় প্রতিটি নির্বাচনে কলুষিত
প্রার্থীদের সংখ্যাটি বাড়ছে ক্রমাগত
এবং ভোটের ময়দানে হাজির থেকে
তারা ভোট ব্যবস্থাকেও নিয়ত করছে
কলুষিত।
দেখেছি তাদের দুরন্তপনায় অসংখ্য
যোগ্য প্রার্থী ভোটের ময়দানে এসে
কাঁদা ছোঁড়াছুড়িতে নামতে হবে এই
ভেবে নির্বাচনে প্রার্থী হতে যেন ভয়
পায়।
মনে হয় সব ভোটারদের নিতে হবে
তাদের ব্যর্থতার দায়।চিরুনি তল্লাশ
করে দেখেছি,নির্বাচন- নির্ভর ভোটে
ময়দানে কলুষিত বহু প্রার্থীর ভিড়ে
আজকাল আতস কাচ দিয়েও যেন
সুযোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে পাওয়াও
হচ্ছে দুষ্কর।
বাতাসে একটু কান পাতলে বুঝবে
বটবৃক্ষের শিকড়ের মতো জনগণের
মনে যেন একটি ধারণা গেঁথে আছে
নির্বাচনের সময় তাদের মেনে নিতে
হবে গ্রহণ নীতি।তাদের এই ভ্রান্তির
বশে বর্জন নীতি সঠিক ভাবে হয়নি
কার্যকরী।
তাই নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই জনগণ
কাড়া-আ কাঁড়া থেকে যেন সকলেই
মন্দের-ভালো বেছে নিতে উঠেপড়ে
লেগে পড়ে।
তাই দেশের আইন সভায় কলুষিত
ব্যক্তিদের প্রবেশ সহজ হয়ে দাঁড়ায়।
আর আগামী দিনের জন্য ঘরে ঘরে
জনগণের দুর্দশাগুলি যেন ভিড় করে
তাদের শিয়রে।
ভাবছি, গুরুত্বপূর্ণ ভোটের চাবিকাঠি
হাতে পেয়েও বর্জন নীতিটি সামঞ্জস্য
মেনে প্রয়োগ করতে না পারার ফলে
আইন সভায় কলুষিত ব্যক্তিরা আজও
বহাল তবিয়তে থাকছে।তার ফলেই
নিয়ত বাড়াচ্ছে তাদের কালো হাত।
ভাবছি,আগামী দিনে আগাছার মতো
আরও বাড়বে তাদের বিস্তার।
দুর্দশা কবলিত দেশের এই অবস্থায়
মহীরুহের ডালপালা ধরে যেন ঝাঁকুনি
দিয়ে জানতে ইচ্ছা করে সম্পূর্ণ কলুষ
মুক্ত না হোক অনেকাংশে কলুষ মুক্ত
এক আইনসভা পেতে তীর্থের কাকের
মতো আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে?