রাতভর বৃষ্টিতে নগরের হৃদয়
পথঘাট-গলিপথ সবই জলময়
রাতের-বরষনে সবে দিশেহারা
নাগরিকবৃন্দ হয়েছে ছন্নছাড়া।
সব সরণী হারালো নিজ সত্ত্বা
দেখি পুর-প্রতিনিধির ব্যস্ততা।
সরণীদের নদ-নদী বলা চলে
বহমান ধারা বারবার দোলে।
আগে-পিছে যে দিকে তাকাই
কর্দমাক্ত জলের সন্ধান পাই।
প্লাস্টিক ব্যাগভরা সফেন জল
নালা-মুখে এসে স্থবির অটল।
আবাল্য নগরীকে এতো চিনি
তবুও এই নদী কভু দেখিনি।
পথ-ভ্রান্তির ভয় দিক-বিভ্রাটে
নৌ-কম্পাসটি রেখেছি সাথে।
নদীর দু’ধারে শুধু পাকাবাড়ি
নবীন-প্রবীণ বাড়িদের সারি।
অসহায় সবে গলা-জলে ডুবে
পথ পানে চেয়ে আছে নীরবে।
তাদের বসত-গৃহ জলে নিমগ্ন
গৃহিণীর বাসনপত্র দোলনে মগ্ন।
সেসব ঠোকাঠুকিতে কথা কয়
সন্তানকে জড়িয়ে মা গৃহে রয়।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রোগে অশক্ত যারা
বাড়ছে তাদের রক্তচাপে পারা
নাগরিকরা আজ কত অসহায়
ঠাই খোঁজ করে এই বাদলায়।
মোর নিকট এক বন্ধুর সাথে
কলার ভেলায় যাচ্ছি নদীপথে
অসহায় বিপন্নকে মুক্ত করতে
পৌঁছে যাবোই দ্রুততার সাথে।
ভেলাখানি চলছে তীব্র গতিতে
দখিন অভিমুখে বহমান স্রোতে
দেখেছি তটিনীর শাখা-প্রশাখা
বেগবতীর জলধারা একরোখা।
সবেগে ডানে-বাঁয়ে গেছে চলে
পাচিলে এসে ধাক্কা খেয়ে টলে।
ফেনা মুখে বলে এই জলধারা
প্লাস্টিকের ব্যবহার হবে সারা?