বলছি একটি আজব দেশের
হৃৎপিণ্ডে যা ঘটলো একেবারে
চোখের পলকে।
দেখে মনে হলো এক ভয়ানক
ভূমিকম্প।শেষ হলো বজ্জাতদের
লম্ফ ঝম্প।বলি,হয়তো সেটির
দরকার ছিল।
যাক গে,যা হলো ভালো।তবে
এর ফলে নিজের শরীরটাকে
সামলানো হলো খুব কষ্টকর।
তারপর কাঁপুনি দিয়েই এলো
ভয়ানক জ্বর।
মাটিও কাঁপলো বেশ জোরে।
সে অবস্থা দেখে ভয়ে মাটিতে
লুটিয়ে পড়ার আশঙ্কায় দু’হাতে
কোমর কে ঠেস দিয়ে নড়বড়ে
মাটির উপরেই দাঁড়িয়েছিলাম
সুন্দরী গাছদের মতো।  
দেখেছি সে সময় আমাকে একা
এ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
এক জন পথচারী আমার পাশ
দিয়ে চলে যাওয়ার সময় কী
ভেবে দাঁড়ালো পাশে এসে।
তার সাথে সৌজন্য বিনিময়ের  
পরে আলাপচারিতা করতে গিয়ে
বলেছি তাকে,‘বলুন তো,এভাবে
সটান দাঁড়িয়ে থাকা যায় আর
কত কাল’?
সে তখন একগাল হেসে বললো
আমাকে,‘দেখুন,কিছু করার নেই।
এভাবেই বাঁচতে হবে,এই ভবে’।
তখনি মনে পড়ে গেল,একসময়
মাদক সেবনের খুব বাড়বাড়ন্ত
ছিল বিভিন্ন প্রদেশে।সে কারণে
সে সব স্থানে তখন ঘরে ঘরে
রোজ নারীদের সঙ্গে পুরুষদের
অশান্তি,একেবারে তুঙ্গে।
সে সময় দেখেছি,কত কী যে  
করতে পারে নারী শক্তি।এখন
ভাবতেও ভালো লাগে,যখনি
শুনি সে সকল প্রদেশে মাদক
সেবন সম্পূর্ণ ভাবেই নিষিদ্ধ
হয়েছে।
পথচারীর সাথে কথোপকথনে
বুঝেছি বেশ,মাতঙ্গিনীর মতো
বীরাঙ্গনার হয়তো খুব অভাব
পড়েছে।
তখনি একটুও কাল বিলম্ব না
করে পথচারীর সে কথাগুলো  
কুইনাইনের মতো গিলেছি।
বলছি,তার মুখে সে কথা শুনে
বলেছিলাম তাকে,‘জীবন সংগ্রামে
এভাবে মাটি আঁকরে পড়ে থাকা
ধৈর্যের পরীক্ষা নিশ্চয়,তাই বলে
সুদীর্ঘকাল এভাবেই চললে তখন
জীবনটা গতিশীল থাকে না,সে
তখন যেন মৃত’।
কথাটি শুনে নিরুত্তরে চলে গেল
পথচারী।দেখছি,তারপরও কেটেছে
দীর্ঘ সময়,তবু এলো না অবস্থার
পরিবর্তনের কোনও লক্ষণ।
তাই বলি,বরং তার চেয়ে ঢের
ভালো,যদি একটা বিধ্বংসী ঝড়
ওঠে উঠুক,ঘটুক ভয়ানক প্রলয়।
তারপর দেখা দেবে নতুন ভাবে
সৃষ্টির সম্ভাবনা।বলি,কাটবে তো
ঘোর বিড়ম্বনা।