এইতো সেদিন কৈলাসে মেঘের ধূম্রজালে থেকে
দেবাদিদেব ডম্বরু বাজিয়ে জানালো বর্ষারাণী
রওনা দিয়েছে বঙ্গের উদ্দেশ্যে।
দেখেছি সেকথা শুনে ঘরের জানালার পাশের
গোলাপ গাছটি কুড়ি ছড়ালো আনন্দ উল্লাসে।
এই ক’দিনে সেই কুড়িটি নবজাতকের মতো
চোখ মেলে তাকাতে শিখেছে।
আজ সকাল থেকেই মেঘদের গুঞ্জনে শুনেছি
বর্ষা আসার সাজো সাজো রব।কলসি কাঁখে
সকল গৃহিণীরা আহ্বান জানালো তাকে।হাসি
ফুটলো চাষিদের মুখে।
অচিরে মহারঙ্গে আকাশ থেকে নামতে শুরু
করলো বারিধারা।সেসব দেখবার অভিপ্রায়ে
একটি চেয়ার নিয়ে কাচের জানালার পাশে
বসেছি চশমা চোখে।
দেখেছি বর্ষণ শুরু হওয়ায় নিজেদের আবাস
থেকে বেরিয়ে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে
ভেকেরা শুরু করলো বর্ষার গুণকীর্তন।সেসময়
জলাশয়ের মাছেরা ডিগবাজি খেলো আনন্দে
উল্লাসে।মনে হয়েছে তখন এ যেন প্রকৃতির
এক আনন্দ নিকেতন।
নয়নাভিরাম একে বলে।আকাশ থেকে নেমে
এসে বারিবিন্দুগুলো সস্নেহে স্নান করালো এই
বসুন্ধরাকে।দেখেছি বিস্ময়ে কতক বারিবিন্দু
ডুবুরির মতো সুক্তির খোঁজে ঝাঁপিয়ে পড়লো
জলাশয়ে।দুষ্ট মিষ্ট প্রেমিকার মতোই কতিপয়
বারিবিন্দু পদ্মপাতাদের চুম্বন করে যেন চড়ে
বসতে গেল সুখের পানসিতে।তাদের পায়ের
নূপুরের শব্দ শুনে প্রেম-স্পর্শে পদ্মপাতাগুলি
যখনি তাদের করতে গেল আলিঙ্গন,দেখেছি
ওরা লুকিয়ে পড়তে চেয়েছে লাজে।