দেখেছি শান্ত পরিবেশে
ফাগুনে হিমের পরশে
উত্তরীয় গায়ে জড়িয়ে
পুষ্পরেণুতে স্নাত হয়ে
মধু-পাত্রটি সাথে লয়ে
ললিত সুরে গান গেয়ে
দখিন দুয়ার খানি খুলে
অরুণোদয়ের প্রাক্কালে
পলাশ পাপড়ি পদ দলে
বল্লিবিতানের সুখ ছায়ে
এলো মোর প্রিয় বসন্ত
সাক্ষী বহে পূর্ব দিগন্ত।


দেখেছি চামেলি,করবী
আম্রমঞ্জরী,চাঁপা,মাধবী
সাথে এসেছে মল্লিকা
কী সুশোভিত বীথিকা!
এই আবহে বরণডালা
পুষ্পপুঞ্জের মিলন মেলা।
মহতী এই বসন্ত পরবে
পুষ্পরেণু উড়েছে গরবে
পবনের চুম্বনে শিহরি
শুষ্ক পত্ররা পড়লো ঝরি’।


অলস সমীরণে পলাশ
কঙ্কণ দোলায় একরাশ,
তখন আঁখি দু’টি মুদি’
গহন স্বপনে থেকে সুধী
শুনছেন দিবস রজনী
বাজে কঙ্কণ রিনিঝিনি।
পলাশ,বকুল,সরিষাফুল
ছন্দে দুলতে ব্যাকুল।
মলয় বাতাস বহে যায়
মাঝিমাল্লারা তরণী বায়।
রাখাল নদী তীরে বসে
বেণু বাজায় কী সরসে।