বেকারত্বের জ্বালায় অর্থ রোজগারের খোঁজে
বেড়িয়ে পড়ে সারাটা দিন অর্থের অভাবে        
বুভুক্ষু র মতো পথে পথে অনাহারে ঘুরে
সেদিন দুটি রুটিতে মেটাতে চেয়েছি ভোজ
আর পথের দুই ধারের কলগুলোতে করেছি
একটু বিশুদ্ধ পানীয় জলের খোঁজ।অবশেষে
তার সন্ধান পেয়ে তৃষ্ণার্ত মরু-পথিকের মতো
অনেকটা জল গিলে পেট ভরিয়েছি অক্লেশে।


পড়ন্ত বেলায় অনাহারে ও ক্লেশে দুখিনী
বৃদ্ধা মা-গঙ্গার তীরে এসে বসে নিজের
দুঃখ কষ্টের কথা গুলি বলেছি তাঁকে একান্তে।
সেই সময় অশক্ত রক্তিম সূর্যটা দিনান্তে।
ভূমণ্ডলের সম্পদ মধু-ভুকের মতো গ্রাসের
অতীব লালসায় গিরগিটির মতো বর্ণচোরা
মানুষ দের বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে সে ঝলসে
উঠলো রাগে,ধীরে ধীরে দিগন্তরেখা পেরিয়ে
অস্তাচলে যাবার আগে।


আমার নিদারুণ সকল দুঃখ-কষ্টের কথা  
শুনে সে নিজেই আগ্রহী হয়ে গঙ্গাবক্ষে
ধেয়ে আসা উত্তাল জোয়ারের আঁকাবাঁকা
ঢেউয়ের বুকে লাল কালিতে লিখে দিলো-
কি লেখা আছে আমার ললাটে।
উপর্যুপরি ঢেউ আছড়ে পড়ায় লেখাগুলো
পড়া যায়নি বিভ্রাটে।ঘোর অমাবস্যা,বিষণ্ণতায়
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করেছি রাতে।
অন্তরে বহমান আগুনে মনের সব যন্ত্রণা গুলো
খই এর মতো উঠেছিল ফুটে।


আঁধারে উল্কার মতো তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে যেন জোনাকিদের
আলোর মতো মিটমিট করে জ্বলেছিল
ঝোপে ঝাড়ে।অবশেষে ক্লান্তিতে ধরাশায়ী  
ঘুমিয়ে পড়েছি গভীর রাতে।পরের দিন
ঘুম থেকে উঠে অতিশয় দুঃখে কষ্টে
ওদের অপভ্রংশ গুলি সমাধিস্থ করতে গিয়ে
দেখেছি ওরা সকলে মুখ থুবড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পড়েছে বিধ্বংসী মহা বলী ঝড় বুলবুলের দৌলতে।