এখন করোনার সংক্রমণ নিয়ে
সাধারণ জনগণের মনে জাগছে
ভয়।তাছাড়াও বহু ঘটনা প্রবাহ
দেখে কি মনে হয় না মানবজাতি
ঢাল বেয়ে নিয়ত গড়িয়ে যাচ্ছে
দুঃসময়ের দিকে?
বলি,দুর্যোগ শিয়রে।ফিরে দেখো,
দুর্ভাগ্য কিভাবে অসহায় দিগকে
পাগলা কুকুরের মতো প্রতিনিয়ত
তাড়া করে।
একটু ফিরে দেখো,নির্দয় সুযোগ
সন্ধানীরা মানুষের এই দুঃসময়ে
বুদবুদের মতো যেন ভেসে উঠছে
প্রতিনিয়ত।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো,চারদিকে
সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল দেখেও
নিজেদের অতিশয় লালসা মেটাতে
তাদের কতিপয় নেমেছে সাধারণ
জনগণের জন্য সরকারী সাহায্যের
সামগ্রী লুটের কাজে?আবার কেহ
কেহ এখন নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ
করতে দুঃস্থদের প্রতিনিয়ত দাবার
বোর্ডের বোড়েদের মতো সাজিয়ে
দিচ্ছে দাবার চাল,এ সব প্রতিদিন
ঘটছে সকাল-বিকাল।
দেখছো কি এখনও জনগণের
মনের বিশ্বাসের হয়নি অন্তর্জলি?
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো,অসংখ্য
জনগণ অতিশয় সরল বিশ্বাসে
নিজেদের মগজ ধূর্ত শৃগালদের
কাছে বন্ধক রেখে যেন প্রভুর
আহ্বানে প্রভুভক্তের মতো সাথে
সাথে নামছে পথে।ছুটছে দ্রুত
গতিতে।এ যেন বন্যায় প্লাবিত
বিলের থেকে খরস্রোতা নদীতে
ভেসে আসা কচুরিপানার মতো।
তারা চলছে স্রোত ধারা যে দিকে
যায় নিয়ত।
চারিদিকে চলছে মিটিং-মিছিল,
সভা-সমাবেশ।জনগণ পিঁপড়ের
মতো করছে কিলবিল।
দেখো,সমস্যা জর্জরিত মানুষদের
মুশকিল আসান হচ্ছে কতখানি
সে নিয়ে রয়েছে সংশয় তবে এর
কারণেই করোনার যে বাড়ছে
সংক্রমণ ও দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যু
মিছিল এ ব্যাপারে নেই কোনও
সংশয়।
ভেবে দেখো,এটাই তো লালসা
ভোগীদের চিনে নেওয়ার যেন
মোক্ষম সময়।নিজেদের লালসা
চরিতার্থ করতে এ সকল সুযোগ
সন্ধানীরা কে,কতটা জনগণের
প্রতি নির্দয়।
কালের স্রোতে তাদের ক’জন
তলিয়ে যায়,আছি এখন সেটা
দেখার অপেক্ষায়।
এ সব সুযোগ সন্ধানীদের দ্রুত
প্রক্ষেপণ দেখে এ সময় তাদের
জিজ্ঞেস করতে খুব ইচ্ছা করে,
‘ন্যাড়া বেল তলায় ক’বার যায়’
-এই প্রশ্নের উত্তর জানা টা কি
তোমাদের খুবই দরকার?