নিয়তির টানে বন্দী দশায় এসে অবসাদে
বিচলিত বারুদ মণ্ডিত দেশলাই কাঠিগুলি
রক্ষাকবচের খোঁজ না-পেয়ে ক্ষুধিত দৃষ্টিতে
জ্বলবার অপেক্ষায় বসেছিল নিরিবিলি।


সর্বনাশা নৈরাজ্যের রাজ্যে ক্ষুধার চিতার  
লেলিহান শিখা ছড়ালো আকাশে বাতাসে।
দিশাহীন ভাবলেশহীন জনেক বাঁশি-ওয়ালা
নিশ্চিন্ত-পুরে তার পাশে বসে বেসুরে বাঁশি  
বাজালে কানে ধরলো ঝালাপালা।

ধোঁয়াশায় স্মৃতি জাগানিয়া বাঁশি-ওয়ালার
বাঁশির শব্দে তমসে আচ্ছন্ন শকুনেরা এসে
দিবা স্বপ্নের ঘোরে অকুস্থলে বসে তার
জয়ঢাক বাজালে জোরে যজ্ঞে ঘৃতাহুতির
মতো কাঠিগুলি জ্বলে উঠলো এক সুরে।


লেলিহান শিখা ধ্বংসের উন্মত্ততায় ঝড়ের
গতিতে ছুটলো কয়লার রেলগাড়ির মতো
আকাশে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে।বাঁশি-ওয়ালা
হতবাক,বুঝলো তখন গৃহদাহ কাকে বলে।