বলি,কাকাতুয়া একটি অচিন
দেশ ঘুরে এসে খবর দিলো,
সে দেশে ঢাকের বাদ্যি শুনে
শুনে সকলে জেনেছে একটি
মহোৎসবের সময় হয়েছে,
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর যেমন
হয়।সে নিয়েই সর্বত্র শোনা
যাচ্ছে সাজো সাজো রব।
ভাবছো কী?টাক-ডুমা-ডুম
বাদ্যি বাজাবে নাকি?তাহলে
নিশ্চিত জুটবে চপ,পিঁয়াজি।
কাকাতুয়া বললো সে নাকি
দেখেছে সে সব ভাঁজছে বহু
শিক্ষিত যুবক যুবতী।
যাক গে সে কথা।বলছি,তুমি
কি জেনেছ এই মহোৎসবকে
উপলক্ষ করেই চলছে ব্যাপক
মহা ভোজের আয়োজন?বহু
প্রবীনদের মধ্যে এ বিষয়েই  
হয়েছে কথোপকথন।কাকাতুয়া
বললো,উদ্যোক্তারা বাড়ি বাড়ি
গিয়েই জনগণ দের করেছেন
নেমন্তন।
সে সব শুনে হাটে বাজারেও
জনগণের মধ্যে নাকি পড়েছে
ব্যাপক সারা।এ কথা শুনেই
নাকি টাক-ডুমা-ডুম বাদ্যিও
বাজাতে শুরু করেছে যুবক
যুবতীরা।
এ সময়ে একা বসে ভেবেছি,
ঝরা ফসলের গুণকীর্তন করা
সমীচীন নয়।আপামর জনগণ
ভালোমন্দ ঠিক বুঝবে যখনি
হবে তাদের বোধোদয়।সচেতন
যারা তারা এখন খুব সংযত।
মুখে কুলুপ এঁটেই বসে আছে
মূক-বধিরদের মতো।
কাকাতুয়া খবর নিয়ে এসেছে
ভোজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেছে
এখন অতিথি আপ্যায়ন।ঘণ্টা
বাজিয়ে জানানো হয়েছে মিটে
গেছে স্বাদু খাদ্য পরিবেশনের
সব আয়োজন।এবার সকলকে
টেবিলে বসিয়ে করা হবে সব
খাবার পরিবেশন।সব খাবার
প্রস্তুত করে সাজানো হয়েছে
পঞ্চব্যঞ্জণ।
আগের খাদ্য তালিকার সাথে
এবার নতুন খাবারও হয়েছে
সংযোজন,যার সাধটুকু নাকি
জনগণ আগে পায় নি কখনও।
বললো কাকাতুয়া,শুনেছে সে
আগের খাবার গুলোর নামের
কোনও জৌলুস ছিল না বটে,
তবে অপাচ্য ছিল না মোটেই।
সে সব জনগণ খেয়ে দেখেছে
নাকি আগে।
নতুনত্ব দেখবে এবার।এ গুলো
যতই হোক না অপাচ্য,নামের
মহিমায় ও সাধে নতুনত্ব দেখে
নিশ্চিত অনেকে ভাসবে জলের
আবেগে।নীলকুটি থেকে সাহেব
দূরবীনে নিশ্চয় দেখবে জনগণ
পরিচিত সব খাবার দূরে সরিয়ে
রেখে নতুন খাবার খাচ্ছে বেশ
চেটেপুটে।
বলি,সে সব পেটে সইলে ভালো।
নয়তো নিশ্চিত হাসপাতালে যেতে
হবে।তবে,কাকাতুয়া শুনে এসেছে
শরীর সম্পর্কে বেশ সচেতন যারা,
নতুন এই খাবারের সাধ নেবার
আগে নাকি দশবার আগে পিছে
ভাববে তারা।