পাইনি মন, প্রাণ ও আত্মার স্বত্বাধিকার
যদিও আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে অনেকে সন্দিহান
সে ভাবনাকে ভেঙ্গে চুরে করেন খান খান
তবে দেহে,মন ও প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে
নেই কোনও বিবাদ বিসম্বাদ
যতই চেষ্টা করি না কেন
আত্মার ভাবনা তো দুরস্ত
পারি না কোনও প্রকারে
দেহে মন-প্রাণকে ধরে রাখতে নিজ অধিকারে
মনকে যদিও সংযত রাখা যায় চেষ্টা করে।
হায়রে,হয়ে পড়ি এতোটাই বিকারগ্রস্ত !
সে কাজ না-করে
আমার মন,আমার প্রাণ বলে করি চিৎকার।
দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে আমি ও আমার
কথা ভেবে মরি
পালঙ্কে শুয়ে সুখ-বিলাসে দিতে চাই গড়াগড়ি।
প্রাণটুকু এ দেহ থেকে চলে গেলে নিঃসাড়ে
নিষ্প্রাণ জড়দেহ! হারিয়ে ফেলি সব অধিকার
তখন থাকে কি মনও এ দেহের অধিকারে?
হায়রে,দেহে প্রাণ থাকতে ভাবি কি
মানব কল্যাণে লাগতে পারি কতটা কাজে?
এ মন এতোই তমসাচ্ছন্ন ও বিক্ষিপ্ত
কী না করতে চাই লোভ-লালসায় মজে?
মেটে না খিদে,শুধু চাই-চাই-চাই
এ খিদে কার?
কতটুকু দেহের?কতটুকু মনের?কতটুকু প্রাণের?
ভাবি কি একটিবার?
মৃত্যুর পর, পরে থাকে যে জড় দেহ
তার আর লোভ-লালসা কিসে?
দেহে প্রাণ থাকতে দিশেহারা
আত্মচিন্তায় গো-হারা
বিক্ষিপ্ত মনের উদ্দীপনায়
জীবনটা কাটে লোভ-লালসায় মজে।
ভাবি কি এ বিক্ষিপ্ত মনে
উদ্দীপক তরঙ্গগুলো স্তিমিত হতে দিলে
সেই মন-প্রাণ
লাগতে পারে কি ব্যক্তিজীবনের কল্যাণে?
কিবা সমাজকল্যাণের কোনও কাজে?