রোজ ধূলিমাখা আমার এই
শরীর দেখে বুঝতে পারছো
কি এ জীবনটা কাটছে ঘোর
দুর্দশায়?তোমাকে বলবো কী,
প্রতিদিন দু্র্ভোগ তুঙ্গে উঠলে,
অন্ধের মতো হাতরে বেড়াই
মুক্তির উপায়।দেবী ‘দুর্গা’র
শতনাম রোজ জপ করি,তবু
দুর্গতিনাশিনীর দেখা নাই।
দেখি,রোজ মিছিলে মিছিলে
ছয়লাপ।যেন অজস্র অজগর
সাপ।  
মিছিলে অংশগ্রহনকারী লক্ষ
লক্ষ জনতার পদপিষ্ট হচ্ছি
বারবার।বুঝবে না,কতখানি
হচ্ছি নির্যাতনের স্বীকার।  
কী বলবো তোমাকে?কাতর
হচ্ছি প্রতিদিনই অসহ্য ব্যথা
যন্ত্রণায়।চিৎকার করে রোজ
কাঁদতে ইচ্ছা হয়।সেও ভয়।
কে,কখন এসে গলাটি দেবে
টিপে!এ বড়ো দুঃসময়!
রাতদিন ভাবি,কাহাতক সহ্য
করা যায় এ অত্যাচার?তবুও
সইতে হয়!হায়রে!কেউ কি
নেই এ টুকু ভাববার?
তাই বলি,সেও হতো ভালো
যদি পক্ষাঘাত হতো আমার
এই শরীরে।
তোমাকে জানাই,যদি না-ই
কাজে লাগলো,বলো,তবে কী
দরকার বিশ্ব জুড়ে এই নেট
পরিসেবার?
কী বলবো তোমাকে,আজও
বেঁচে থাকলে জন্মান্ধ রাজা
ধৃতরাষ্ট্রের কানেও প্রতিবাদ
বার্তা পৌঁছে দিতে এই নেট
পরিসেবা যথেষ্ট হতো।
শুনেছি,এ কথাটি সব ক্ষেত্রে
নাকি সত্য,অবশ্য কর্তাব্যক্তি
বধির হলে তখন সে প্রসঙ্গ
ভিন্ন।
যাক গে,অত্যন্ত ক্ষুদ্র আদার
ব্যাপারীর জাহাজদের খোঁজ
খবর নেওয়ার মতো মোটেই
সঙ্গত নয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
নিয়ে এসব ভাববার।
বলি,একটু মন দিয়ে শোনো,
ভেবে দেখার হয়তো হয়েছে
সময়,‘দূরদূরান্ত থেকে রোজ
দুঃস্থদের মিছিলে টেনে নিয়ে
আসা সঙ্গত হচ্ছে কিনা?
বলি,জানতে খুবই ইচ্ছা করে
লঙ-মার্চ অভিযান চলছে কি
প্রতিদিন?
এ ভাবে চললে ভাবতে হবে,
কখন কী হতে পারে?এরপর
আজব কাণ্ডকারখানাটি দেখে,
আর সহ্য করতেই না-পেরে
জনগণ যদি মিছিলকে বয়কট
করে বসে,তখন?
বলছি,বদলাতে হবে মান্দাতা
আমলের প্রতিবাদের ধরণ।