জিজ্ঞেস করেছি তাকে, ‘হলো কী? নিশ্চুপ
কেন? ভারাক্রান্ত কি অব্যক্ত যন্ত্রণায়?
অসহায় ভাবে আঁধার কুটিরে বসে আছো
কেন?’
দেখেছি তার বিষন্ন মুখ। সুখের আলতো
ছোঁয়া, সেও মুখে ফুটে উঠছে না।
বলবো কী কালা ধনে শরীর ঢেকে গেলে
এ দশা হয়! মনে হয় যেন বুকের উপরে
চেপে বসেছে একটি গজ-হস্তী! দেহ মনে
অস্বস্তি, বৈকি!
বুক ভরে প্রশ্বাস নেওয়াও কষ্টকর। যন্ত্রণা
লাঘবের আপ্রাণ চেষ্টা করেও স্বস্তি পাওয়া
দুষ্কর।
যন্ত্রণা লাঘব না-হলে সমস্যা খুব। সে যেন
ভরা কলসির মতো। পেটে কতক ঘা-গুঁতো
দিলেও কোনও শব্দ বের হয় না। সব যন্ত্রণা
ভুক্তভোগীকে মুখ বুজে সহ্য করতে হয়।
খালি কলসি ভার মুক্ত। তার আর এ নিয়ে
ভাবনা কিসে? দেখি, তাকে এসব  কখনো
ভাবতে হয় না।
গায়ে টোকা দিলেই টুং-টাং শব্দ বের হয়।