শোনালো কাকাতুয়া, সে কোনও ভূতের
আজব গল্প নয়, দৈত্যেরও নয়। শুনলে
দেহ কাঁপে থরথর।
পাখি পেয়েছে খবর, কোনও এক দেশে
জ্ঞানসাগরের তটে নেমেছে ধস। সেখানে
ঘনীভূত হয়েছে গভীর সংকট।
ভূকম্পনের মতো জোরে ধাক্কা লেগেছে
শিক্ষাঙ্গনের দুয়ারে। শিক্ষাব্যবস্থার এখন
নাকি বেহাল দশা, বোয়াল যেন পড়েছে
জালে।
জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসবে? সে সামর্থ্যও
নাকি অবলুপ্ত। সাংবাদিকদের ক্যামেরায়
ধরা আছে সামগ্রিক চিত্র।
শিক্ষাব্যবস্থা এখন এমন নড়বড়ে, জোরে
হাওয়ার দরকার নেই, মৃদুমন্দ হাওয়ায়ও
সেটি ঠক ঠক করে নড়ে।
অবস্থা এমন কোথাও অঢেল শিক্ষার্থী আর
শিক্ষক অপ্রতুল, আবার কোথাও সম্পূর্ণ
বিপরীত চিত্র। নীতি নির্ধারকের অদক্ষতায়
সৃষ্ট সে যেন এক গভীর গর্ত।
বললো কাকাতুয়া, সেটি বোঝাবে? কার
আছে সেই সামর্থ্য?
পাখি আরও বললো, তার সন্দেহ জাগে
জনগণও তাদের ভুল ধরাতে ছিল কতটা
তৎপর?
পাখি পেয়েছে খবর, জনগণের বৃহদাংশ
করেছে অগণিত ভুল। তবুও সেই নীতি
নির্ধারকের সাথে আনন্দে মশগুল।
জনপ্রতিনিধি নির্বাচনেও বারবার করেছে
ভুল। পরিণতি যা হওয়ার, হয়েছে তাই।
এখন গুনছে ভুলের মাসুল!
বললো পাখি, যেভাবে দুলছে শিক্ষাঙ্গন
আর তার ভিত যতটা হয়েছে নড়বড়ে,
যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।