যা করে দেখালে ভারী অদ্ভুত তো!
এ দৃশ্য দেখে ক’জন তো খেয়েছে বেশ
থতমত।
ইতিহাসের ছাত্ররা বলে বসলো এ যেন
একেবারেই হ্যামলিনের বাঁশি-ওয়ালার
গল্পের মতো।
শুনবে জুড়লো কি তাতে? বললো তারা,
তোমার ভাবনা মন্দ না, নারদ ঠাকুরের
সুযোগ্য শিষ্যা কিনা।
বুড়ি-মা, ভেবেও পাইনি কূলকিনারা কী
হতে পারে পরের ঘটনা।
তোমার এ পোষা ছাগলগুলো যতই হোক
ক্ষুধার্ত, যতই মিশে যাক ওদের পেটে-পিঠে
ক্ষুধার জ্বালায়, মনিবের দিকে ফ্যালফ্যাল
করে চেয়ে কাকুতিমিনতি ও করেছিল বটে
কিছু খাবার দিতে।
ওদের যখন কোনও খাবার জোটেনি বরাতে
তখন কেন যে মুখ বুজে মেনে নেয়নি মৃত্যুকে
বেছে নেওয়ার মনিবের শর্ত?
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বসেছে রাজপথে।
শোনা যায়, ন্যায্য বিচার চেয়েছে আদালতে।
এ নয় কি ঔদ্ধত্য?
যাই বলো, ওদের সাহস বলিহারি বটে!
কে জানে, জল খেয়েছে নদীর কোন ঘাটে।
তবে তুমি যে সাহস ও বুদ্ধি প্রয়োগ করলে,
সেকথা জানলে যে কেউ তোমার বুদ্ধিমত্তা
ও সাহসের তারিফ না-করে পারে?
ধূর্তেরা বলে তোমার মগজে নাকি অনেক
বুদ্ধি ধরে।
হায় রে, ছাগলগুলো কি ভাবতে পেরেছিল
কী ছিল তোমার মনে?
কী করতে যাচ্ছ ওরা কি কিছু আঁচ করতে
পেরেছিল যখন ওদের কে গোয়াল থেকে
বাইরে আনলে টেনে?
দেখেছে অনেকেই একগুচ্ছ মুলো দেখাতে
দেখাতে ওদেরকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করালে
এক বাঘের খাঁচার সামনে।
এ পরিস্থিতি দেখে ওরা তো অবাক। হতভম্ব
হলো যখন দেখলো একটা মই দাঁড় করিয়ে
রেখেছ তালগাছের সাথে।
হয়তো ভেবেছিলে বাঘের খাঁচার দরজা খুলে
দিয়ে সেই মই দিয়ে উঠে পড়বে গাছে, সবার
ধরাছোঁয়ার বাইরে।
চোখের সামনে এ দৃশ্য দেখে অনেকের নাকি
চক্ষু চড়কগাছ। কী করবে সে চিন্তায় কপালে
পড়লো ভাঁজ। অনেকে করলো চিৎকার।
প্রত্যক্ষদর্শী যারা দূর থেকে দেখেছে এ দৃশ্য,
জানালো বাঘের খাঁচার দরজা ও নাকি খুলে
দিয়েছ।
ভাবছে তারা এবার কী ঘটবে, কে জানে।