এতকাল হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিল।
বিলম্বে হলেও এবার বোধোদয় হলো।
বুঝলো অস্তিত্বের সংকটে পড়লেও কোনও
জাতি দীর্ঘকাল মানে না অন্য কোনও
জাতির দাসত্ব।
উদাহরণ ভুরি ভুরি।‘দাস বিদ্রোহ’ থেকে
ইতিহাস আজও পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির
ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে।
এই কারণে কত সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত হলো!
সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলো বহূ রাষ্ট্র।
তারা বুঝলো বটে,তবে এযাবৎ বিশ্বের
বিভিন্ন প্রান্তে কত রক্তগঙ্গা বহে গেল!
কষ্ট-কল্পনা,তবুও হয়তো বিশ্বে জাগলো
মানবতার আশার আলো।
স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয়?সেও হতে পারে!
কে বলতে পারে জুটবে কতটা ভরসা?
এ ঘটনায় বিশ্বের সমস্ত বৃহৎ শক্তিধর
রাষ্ট্রের জাগলো কি একই অনুভূতি?
নাকি,আবার উত্থান হবে অন্য কোন
আগ্রাসী শক্তির?
‘সময়’-আগামী দিনে দেবে সেই উত্তর!
সকলে বুঝলে ভালো জীবন যন্ত্রণায়
মানুষ বাঁদুরের মতো ঝুলে থাকলেও
খোঁজে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি।
ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা যায়নি কখনও।
এই বোধোদয় হোক সব বিশ্ববাসীর।
বিশ্ব থেকে দূর হোক সবার আগ্রাসী
মনোভাব।
বন্ধ হোক,বিশ্ব জুড়ে অস্ত্রের উৎপাদন,
আর দুর্বিষহ বারুদের গন্ধের উসকানি।