সেদিন আকাশে মেঘের সামিয়ানা দেখে  
ছন্নছাড়া মনটাকে নিয়ে মেঘ-বালিকাকে
ছুঁতে সটান শিলং পাহাড়ে চূড়ায় পৌঁছে
মুগ্ধা-বেশে দেখেছি তাকে।
সে তখন বলাকার মতো বাতাসে ভেসে
বেড়াচ্ছিল যেন অতিশয় উল্লাসে।সজল
হাওয়ায় এলো-কেশীর কাজল কালো
শাড়ির আঁচল ও ঘন কালো চুল মুক্ত
বাতাসে ছড়ালো বহুদূর।
যদিও আষাঢ়ে দেখেছি তাকে বলাকার
মতো ধীর স্থির।শ্রাবণে সে যেন একটি
চপলা হরিণী। সে সময় ক্ষিপ্র গতিতে
ছুটতে দেখেছি তাকে।
মেঘ-বালিকাকে নিয়ে বিস্ময় অতিশয়।
কদম ফুলের প্রতি গভীর অনুরাগে সে
গাছে ফুলদের ঝুলতে দেখে হাত দুটি
সেদিকে বাড়িয়ে গাছ থেকে কিছু ফুল
তুলে পুষ্পরেণু সহ ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে
দিলো বাতাসে।
সে কাজল কালো হলেও দেখেছি তার
মায়াবী মুখ।জলের জন্য চাষ আবাদে  
বিঘ্ন ঘটতে দেখে সেখানে উড়ে গিয়ে  
সে তারই শাড়ির আঁচল নিঙরে ঢেলে
দিলো জল।বারি বিন্দু হয়ে সেই জল
যখন পড়লো মাটি ও গাছের পাতায়,
তখন যেন বেজে উঠলো এক সুমধুর
জলতরঙ্গ।ছেলে মেয়েরা তখন বৃষ্টিতে
ভিজে শুরু করলো রঙ্গ তামাশা।
দেখেছি তখন সঙ্গীত ও নৃত্য-পিয়াসী
বালিকা বধূরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে
বৃষ্টিতে ভিজে জল-তরঙ্গের তালে তালে
নাচলো উল্লাসে।