এই ঘটনা নাকি অল্প ক’দিন আগেকার।
একজন চাষির গোয়ালে একটি বিষধর
সাপকে ঢুকতে দেখে বাড়ির মোরগগুলি  
বিপদ বুঝে জুড়লো চিৎকার।ওদের সেই
আওয়াজ এতো জোরালো ছিল যে কেহ
কাছে থাকলে তার কানের পর্দা ও যেন
ফাটবার জোগাড়।
বিপদের ভয়ে আগন্তুক কড়িবর্গা বেয়ে
গোয়ালের মাচায় উঠে সেখানে গুটিয়ে
রইলো আত্মরক্ষায়।চাষি তখনি পোষ্যের
বিকট চিৎকার শুনে শঙ্কিত হয়ে লাঠি
নিয়ে সেথায় হাজির হয়ে দেখলো একটি
কেউটে বসে আছে মাচায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে সে ভাবতে শুরু        
করলো শত্রুটির সাথে সামরিক কায়দায়
কিভাবে করবে লড়াই।সে জানতো শৈশব
থেকে তার এই প্রতিপক্ষটি গরিলা যুদ্ধে
খুব দক্ষ।ভাবলো যুদ্ধ শুরুর আগে তাকে  
সে ভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
পাড়াপড়শীরা ও সেই অবকাশে পৌঁছলো  
সেথায়।গুপ্তচরদের মতো আদব কায়দায়
উপস্থিত সকলে উঁকিঝুঁকি মেরে সাপকে
দেখে সিদ্ধান্ত নিলো মেরে ফেলতেই হবে
এই দুস্কৃতিকে।
উপস্থিত সকলে তৈরি হলো বীর যোদ্ধার
মতো যেন তারা সকলে নামবে যুদ্ধক্ষেত্রে।
কিছু লাঠি ও জোগাড় করলো তারা এপাশ
ওপাশ থেকে।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলো
লাঠিগুলো গুণ মানে ও সংখ্যায় সাপটিকে
মারার পক্ষে যথেষ্ট নয়।এই সব হাতিয়ার
নিয়ে যুদ্ধে নামলে হয়তো তাদের স্বীকার
করতে হবে পরাজয়।
শেষে হারের সম্ভাবনা মাথায় রেখে চাষি
আত্মঘাতী যুদ্ধ থেকে সরে এসে সাপটিকে
প্রহরা দিতে এক নেউল ধরে এনে পুষলো
ঘরে।বুদ্ধি বিভ্রাট একে বলে।চাষি তখনও
বোঝেনি তার বিপদ শিয়রে।বোঝেনি সে
নেউল কখনোই পোষ মানেনি এই বিশ্ব
সংসারে।