স্বাদ টুকু না-জেনে বুঝেও আবদার আর
শিশুদের মতো হাত-পা ছোঁড়া ছুড়ি!প্রাপ্তি
সহজ ছিল না।তাতে কী?জনগণ করলো
গা-জোয়ারী।
অশিক্ষা ও অজ্ঞতার অন্ধকারে কোনও
জাতি ডুবে থাকলে আকছার শিশুসুলভ
এমন আচরণ করে,বৈকি!
তারপর? আবদার ও হাত কচলিয়ে তারা
শিশুদের মন ভোলানো লালিপপের মতো
‘গণতন্ত্র’ পেয়ে খুশিতে টগবগিয়ে উঠলো।
বলা ভালো,সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে
স্বাধীনতা এলো কি?
দেশে কূল ছাপানো নদীর মতো অশিক্ষা।
অজ্ঞতার অন্ধকারে ই ডুবে ছিল দেশটা।
এ দশায় সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা
সম্ভব কি? সেটি সিকেয় ওঠার সম্ভাবনা  
আছে,বৈকি!
ভাবলো ক’জন স্বাধীন রাষ্ট্রপরিচালনার
দায়ভার নেওয়ার সময়-নির্বাচন সঠিক
হলো কিনা? বুঝলো কি, হিতে বিপরীত
হওয়ার রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা!
ক’জন জানতো শিলাখণ্ডের মতো এই
গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা? সেটি গড়ালে
কখন কোনদিকে গড়ায়?
অশিক্ষা ও অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবলে
সে জাতি নিজ দেশকে সমৃদ্ধির দিকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে কি?
জানতো কে,গণতন্ত্রের ভার কতখানি?
সে সময় ক্ষমতালোভীরা মনে রাখেনি  
দেশ মাতৃকার কাছে তারাও ঋণী।
এ দশা হলে স্বাধীন গণতন্ত্রের স্বপ্নভঙ্গ
হতে কি আর সময় লাগে? দেশ স্বাধীন
হলে জনগণ যাদের উপর সঁপে দিলো
রাষ্ট্র ক্ষমতা, হায়রে, তাদের মধ্য থেকে
ক্ষমতা লোভীরা কি তাদের মাথা ঠিক
রাখতে পারে?
নৈতিকতা বর্জিত মুনাফাকারবারিদের
সাথে হাত মিলালো রাষ্ট্র ক্ষমতা লোভী
নরপিশাচেরা। তারা একত্রে এ সমাজে
দিলো হায়না হানা। ভেঙ্গে দিলো নিরীহ
জনগণের বিশ্বাসের আতুর ঘর।
‘গণতন্ত্র’ নামক গড়ানো পাথরকে ঠেলে
দিলো জনগণের দিকে তাদেরকে পিষে
মারার উদ্দেশ্যে।
বলো,কী করতে পারে তখন দিশেহারা
জনগণ। তাদের রক্ষাকবচ ও কোথায়?
সমাজে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার।
এই আবহে তারা পাথরে পিষ্ট হবেই,
এ ছাড়া আর গত্যন্তর কী?


[আসরের প্রিয় কবি-বন্ধু বিশ্বনাথ ঘোষ মহাশয়ের
ইং-০২/০৪/২০২২ তারিখের গণতন্ত্র(ব্যাঙ্গ)কবিতা
পাঠে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ-লেখার প্রচেষ্টা।এ লেখাটি তার
সম্মানে আসরে উৎসর্গ করছি।]