শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা
জানো নিশ্চয় যা দিনকাল,
‘নন্দলাল এখনও সিংহাসনে বহাল’।
দেখেছো নিশ্চয় এ যাবত-কাল
রাজপাট কিভাবে সুষ্ঠুভাবে চালাতে হয়
সেসব জানার নেই তার কোনও দরকার,
সুমিষ্ট পান মুখে পুরে নক-আউট প্রতিযোগিতায়  
দাবা খেলা নেশা তার
ক্রীড়া-মন্ত্রী দাবা-প্রতিযোগিতায় উদ্যোগী হলে
দেখেছি নন্দলাল এক গাল হেসে
তাতে সায় দেয় সাথে সাথে
অন্যথায় পরামর্শও দেয় এ প্রতিযোগিতা করার।
তারি পরামর্শে দীর্ঘদিন চলছে দাবা প্রতিযোগিতা।
ভাবছো কী? প্রতিযোগিতায় সে অংশ গ্রহণ করে কি?
বলি, সে দাবা-র সুদক্ষ খেলোয়াড়,
ঘোড়ার চালে প্রতিপক্ষদের করে নাজেহাল
খেলা চললে সে খেলায়
সে কি অংশগ্রহণ না-করে থাকতে পারে?
শিক্ষিত যে বেকার যুবক-যুবতীরা
জীবিকার তাগিদে চাকরীর খোঁজে ছুটে বেড়াও,
প্রতিদিন পা-বাড়াও এদিক-সেদিকে
চাইলে নাম লেখাতে পারো প্রতিযোগীদের তালিকায়।
তবে যা দিনকাল, বলতে হয়
শিক্ষাদীক্ষায় পারদর্শী হলেও সেটি যথেষ্ট নয়
দাবাখেলাতেও পারদর্শী হতে হবে,বৈকি।
এ খেলায় অংশগ্রহণ করে জিতেও আসতে হবে।
বলতেও বাঁধে বিবেকে, কষ্টও হয়!
তবু না-বললেই নয়
অতি অল্প মাইনের ডোমের কাজের
একটা সামান্য চাকরীর জন্য হলেও
সেই প্রতিযোগিতায় এখন জিতে আসতে হয়,
নয়তো শিক্ষাগত সব সাফল্যই বৃথা।
বলবো কত আর তবে এ কথা জানা দরকার
এ আপৎকালেও রমরমিয়ে চলছে এ খেলা।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে জেনে রেখো
বিগত ক’বছর খেলাগুলো কিভাবে হলো ফয়সালা?
সেসব না-জানলে এখন জেনে রাখো,
প্রতিক্ষেত্রে মাতিয়ে দিলো নন্দলালের ঘোড়ার চাল
এ চালে-ই প্রতিক্ষেত্রে হলো খেলার ফয়সালা।
দেখেছি সে ঘোড়ার চালে কিস্তি দিলে
প্রতিপক্ষরা বারংবার হলো দিশাহারা
বহুবার দেখেছি ঘোড়ার চাল দিয়ে
সে বলতো প্রতিপক্ষকে,
‘কিস্তি! ভেবেচিন্তে দেখো এবার
হার স্বীকার না-করে করবে কি?
এ চালে কিস্তি মাত হলো নাকি?’
শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা জেনে রাখো
নন্দলাল যতকাল সিংহাসনে থাকবে বহাল
এটাই খাঁটি কথা, ঘোড়ার চাল-ই হবে
দাবা খেলায় তার সাফল্যের চাবিকাঠি!