পুকুরে ওদের ভেসে সাঁতার কাটা দেখে
শিশুরা পাথর ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে জলে
ডুব দিয়ে লুকাতে চায় ওরা।এই মজার  
লুকোচুরি খেলায় হয়তো রয়েছে শিশুদের
ব্যক্তি-স্বাধীনতা।কিন্তু নির্মম অত্যাচারে
মরছে অত্যাচারিত রা অবেলায়।
এই সমাজের বুকে সমান্তরাল ভাবে চলছে
বড়দের খেলা।দেখি অসাধু কারবারিরা অর্থ
রোজগারের তীব্র লালসায় ফন্দি এঁটে আজ
পুকুরে চার ছড়ানোর মতো নানান জাল
ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে।
চটকদারি সেই ছবি ও গল্প-গাঁথার মাদকতা
তাড়িয়ে উপভোগ করছে প্রধানত পুরুষেরা।
সিক্ত হওয়ায় বাসনায় তখন ঝাঁপিয়ে পড়ছে
সমাজে নিরপরাধ নারীদের উপর।চলছে পাশা  
খেলায় দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ দশা।
একরাশ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে আত্মরক্ষার পথ
খুঁজে পরিত্রাণ না-পেলে নারীদের মারছে
পুরুষ শিকারিরা।
রাজা!সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় বাঁধিও না
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ।এই যুদ্ধে ধ্বংস অনিবার্য।
রাজা,তুমি যুদ্ধে জয়ী হও,তোমার সাম্রাজ্য
ভূখণ্ডে নয়,বিস্তৃত হোক নরনারীর অন্তরের
পরিসরে।বন্ধ হোক গণতন্ত্রের নামে বিকৃত
রুচির ব্যক্তি-স্বাধীনতা।দেখতে চাই না আর
ফুলের গায়ে কীটের দংশন কিংবা অহেতুক
ফুলের কুঁড়ি ছেঁড়া।