করছো,এ কী!
সত্যের গায়ে সযত্নে মাখাচ্ছ মিথ্যার
কালিঝুলি? তবে,এ ব্যাপারে তোমাকে
আর কী বলি!
রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়
থেকে রাতে বিছানায় ঘুমতে যাওয়ার
আগে অবধি নিশ্বাস ফেলবার মতোই
অধিকাংশ জনগণের এই কাজটি করা
পরিণত হয়েছে অভ্যাসে।
সকালে বিছানায় শুয়ে চোখ রগরাতে
রগরাতে রোজ দেখি কত কী!বাস্তবে
সমাজের অবস্থা যা ঘোরালো তাতে
সত্যকে আগলে ধরে জীবনভর বেঁচে
থাকাও যেন বেশ কষ্টকর!
জানো,অনেকে একথা ভাবে এ দুষ্কর্ম
যেন একটি মহান শিল্পকর্ম আর এই
শিল্পকর্মে দোষ কিসে?জানি না,তারা
নারদ মুনির উত্তর সূরি কিনা!
এইতো সেদিন একজন এসে ডুগডুগি
বাজাতে বাজাতে বলে গেল চারদিকে
নাকি শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটছে।
মগজ টাকে ভালোভাবে হাতুড়ি দিয়ে
ঠোকাঠুকির পরে এই শিল্পকর্মে তার
বক্তব্যের সত্যতা পেয়েছি।
মনে রেখো,বর্ষে বহু বার মেঘ জমে
আকাশে।মাঝে মাঝে ঝড়-ঝঞ্ঝা দেখা
দেয় শেষে।প্রকৃতি সেসময় জনগণকে
বানভাসি করে,হেসে।তখন ভাবি,তার
আর দোষ কিসে!
বলি,বছরে একটা দিনকে বাদ রেখে
বাকি দিনগুলো সকলেই যদি সত্যের
মুখোমুখি হই,ক্ষতি কি?উদরে অপাচ্য
দ্রব্য থেকে দুষিত বায়ুর মতোই কত
কী জমে শরীরকে অসুস্থ করতে পারে,
ভাবছো নাকি?সেও হতে পারে!বাল্য
কাল থেকে লালিত অভ্যাস,সেকি লুপ্ত
যেতে পারে এতো নীরবে?
কে বলতে পারে,হয়তো যথার্থ কারণ
ঊহ্য রেখে সে কারণে বছরের একটি
দিন রাখা আছে সত্যের গায়ে হিংস্র
ভীমরুলের মতো মিথ্যার হূল ফুটিয়ে
আনন্দ করার জন্য?
ফাস্ট এপ্রিল,এপ্রিল ফুল।সেদিন যে
যত পারো, ভীষ্ম কে শরবিদ্ধ করার
মতোই সত্যকেও বিদ্ধ করতে পারো।
‘অশ্বত্থমা হত,ইতি গজ’ এরকম সব
বিভ্রান্তিকর কথা অনর্গল বলে সকল
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করতে
পারো। ছলনাও করতে পারো।
সেদিন কেউ কিছু বলবে না।তবে,সেই
দিন সব জনগণ সচেতন থাকতে চেষ্টা
করবে,বৈকি!
একটা কথা শুধু বলার, বছরের বাকী
দিনগুলো সত্যের মুখে ও শরীরে মিথ্যা
কিবা ছলনার কালি এক বিন্দুও ছড়াতে
যেও না।