এক বিকালে তুমি এসেছিলে
অপরূপা!বহুদিন পরে একা।
হঠাৎ-ই এসে তুমি বলেছিলে
ফিরবে তখনি,আছে ব্যস্ততা।
বসেছিলে আমার কাঁধ ঘেঁষে,
অব্যক্ত কথার ভাণ্ডার লয়ে,
তোমার গুপ্ত সম্ভার বিলিয়ে
নিজে রিক্ত হবার অভিলাষে।
গোধূলি-লগ্নে নির্ঝরের মতো
আমার কাঁধ বেয়ে নেমেছিল
তোমারি দীর্ঘশ্বাস।উষ্ণ-স্নাত
ওরা অসংযতভাবে বয়েছিল।
তখন ভেবেছি তোমার লেখা
সেই চিঠিটা যা এক বিকালে
ডাকে এসেছিল।তুমি লিখেছিলে
‘আর কখনো হবে না দেখা’।
চাকুরীটা খোয়ানোয় জুটেছিল
সেই চিঠি।শ্লেষে ও উপহাসে
ভরা উপহার সামগ্রী অক্লেশে
আমার অন্তর বিদ্ধ করেছিল।
চারদিকে ঘন ঘোর অন্ধকার
নিরালায় নিষ্ফল কান্না-স্রোত,
ভালোবাসার গ্রন্থিটা ও অদ্ভুত
আলগা!অযত্ন-লালিত কদাকার।
প্রলাপ সংলাপ!দুঃখের আভাস,
নিয়ত বহিছে সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস।
সেদিন তোমার উষ্ণ-নিঃশ্বাস
দিয়ে গেছে অফুরান দূরভাষ।
মুক্ত আকাশে সেই চিঠিখানা
উড়িয়ে একান্তে দেখেছি ডানা
মেলে মহানন্দে উড়তে গিয়ে
মুখ থুবরে পড়ে গেল গহ্বরে।
আজ আমি এক মুক্ত বিহঙ্গ
ভুলতে বসেছি তোমার সঙ্গ।
স্বজন হারিয়ে এই সন্ধিক্ষণে
চেয়ে থাকি অসীম শূন্য-পানে।