সময়টা নিমেষে এতো টা ঘোলা হবে যাবে
সেদিন কিছুতেই বুঝতে পারেনি শতসহস্র
পরিযায়ী শ্রমিক,যেদিন সারাটা দেশ জুড়ে
লক-ডাউন ঘোষিত হলো ভয়ঙ্কর করোনা
ভাইরাসের দাপটে।
চোখের পলকে বন্ধ হলো সব হাটবাজার,
দোকানপাট,খাবার অকুলান।অলিগলি সহ
সব পথ ঘাট সুনসান।বন্ধ ট্রেন সমেত সব
যাত্রীবাহী যান।
শ্রমিকদের রোজগারও উঠেছে লাটে।প্রাণটা
টিকে আছে কোনমতে।সেও ছটফট করছে
সংসারের বদ্ধ খাঁচাতে।তাই তারা নামলো
পথে।কষ্ট সহে ও ফিরতে হবে বাড়িতে।
রৌদ্র তাপে শত শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে
পৌঁছতে চেয়েছে সজ্জন দের কাছে।অবিরাম
হাঁটছে গ্রহ-তারাদের সাক্ষী রেখে।ক্লান্তির
ছায়া প্রকট,তাদের চোখেমুখে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কাণ্ড-কারখানা
দেখে বিধাতা গুমরে উঠছে।তাদের এতো
সাহস দেখে ভাবছে তাদের পাশে থাকা
যায় না কোনমতে।
পরখ করেছে সমাজ।এগিয়ে আসতে তার
বাঁধছে সংকোচে।নির্বিকার,জন্মান্ধ,সভ্যতার
জন্ম লগ্ন থেকে,একবারও ফিরে তাকায়নি
ওদের দিকে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কোন অভিযোগ নেই
নিসর্গ সময়ের কাছে।নির্দয় সমাজ তাদের
কাণ্ড-কারখানা সবই দেখেছে।
তারা শুধুই হাঁটছে।মাঝে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা,
ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।কষ্ট গুলো কার্পাস তুলোর
মতো উড়ছে শূন্যের পথ চেয়ে।বলা ভালো,
তবু বুঝেছে রাজপথে র কালো পীচ।দেখেছি
ভয়ানক রোদে তাকে অশ্রু ঝরাতে।সারাটা
পথ ভিজেছে যেন তার কান্নায়।তাদের প্রতি
প্রগাঢ় মমতায় চুমো খেয়েছে ওদের রোদে
ঝলসানো মুখে,পথের ধকল সইতে না-পেরে
তারা যখন ক্লান্তিতে শুয়ে পড়েছে রাজপথে।