‘এখন বদলেছে জমানা’,বলি,
এ কথার অর্থ বুঝতে মোটেই
কষ্ট হয় না,যখন দেখি সর্বত্র
বেড়েছে বর্ণচোরাদের ব্যাপক
বিয়াদিপণা।
ওদের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ত
সহ্য করা যে কষ্টকর,বাস্তব
অভিজ্ঞতা থেকে এ-কথাতে
সায় দিতে আছে কি কোনো
সংশয়?
শোনো,এরা যে কোথায় থাকে
সেকথা আগে ভাবিনি কখনও।
জানো,সেদিন রাতে এ প্রশ্নটা
যেন উঁকুনের মতোই কামড়ে
ধরলো।বেশ কুঁটকুঁট শুরু হলো
মগজে।
বলো,কে জানতো,এ বিদঘুঁটে
প্রশ্নের উত্তরও লাগতে পারে
কাজে?শেষে কী আর করি!
রাত পোহালে টিকটিকি সেজে
এই প্রশ্নটির উত্তরের সন্ধানেই
বেরিয়ে অদূরে এক ভবঘুরে কে
খুঁজে পেয়ে ভেবেছি,হয়তো এই
প্রশ্নের উত্তর তার জানা আছে।
কিন্তু তোমাকে বলবো কী,তাকে
এই প্রশ্ন করে বুঝেছি সে ব্যক্তি
ভ্রান্তিবিলাশে বেশ মজে আছে।
এই অবস্থায় কী করা যায়,সেটি
ভেবেছি একাকী বসে।
সকলে ব্যস্ত নিজেদের কাজে।
বলো,তাদের কি বিব্রত করা
সাজে?অগত্যা কী আর করি?
তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে এ-প্রশ্নটা
করেছি সবজান্তার কাছে।
সে কী উত্তর দিলো জানো?
বললো,‘এদের অধিকাংশ থাকে
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর
ছত্রছায়ায়।হীরা,মাণিক ও পান্না
এই মূল্যবান রত্নগুলোর মতো
ওদেরও কদর খুব।
আরও কী বললো শুনবে নাকি?
বললো,‘মায়া খুব দুর্লভ জিনিস,
ক’জন করতে পারে হাতছাড়া?
সেসব দলগুলোও ওদের মায়ায়
জড়িয়ে পড়েছে বেশ,একেবারে
স্বর্ণলতার মতো,পারে না ওদের
করতে হাতছাড়া'।
যাক গে,সবজান্তার সেসব কথা।
বলি,শুনেছো কী,‘মাঠে খেলার
নাকি চলছে ব্যাপক আয়োজন’।
তখন আলো করা এ রত্নগুলো
না-থাকলে সবই অন্ধকার।
বলি,আরো শুনবে নাকি মজার
ব্যাপার?সেদিন যখন পথে পথে
বর্ণচোরাদের খোঁজে ঘুরে ফিরে
অবশেষে পৌঁছে গেছি সবজান্তার
কাছে তখন সে কী কথা বললো
জানো?
বললো সে জন,‘যখন যেখানেই
নির্বাচন হয়,সেখানেই সে সমস্ত
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের
তালিকা খুঁটিয়ে দেখো,সেখানে
খুঁজে পেলেও পেতে পারো এই
বর্ণচোরাদের,কলোনি গড়ে ওরা
থাকতেও পারে একেবারে বহাল
তবিয়তে’।
বলি,শীঘ্রই এ কথাটির সত্যতাকে
যাচাই এর সুযোগ আসতে পারে।
ভাবো,একবার সেটি যাচাই করে
দেখবে নাকি?