মা! আমার শৈশবে সরে গেছিস বহু দূরে,
জানি না, কী কারণে !
অবাধ্য মন সান্ত্বনা খুঁজতেই বলে,-
তোকে চলে যেতে হলো ‘নিয়তির টানে’ ।
অবোধ শিশু ডেকেছি তোকে, বহুবার !
দিসনি সাড়া, যদিও অঝোরে ঝরেছিল অশ্রুধারা ।
জানি না, হয়তো দেখা দিয়েছিস ‘দশভুজা’ হয়ে ।
তবে যখনি যা কিছু পেতে চেয়েছি তোর কাছে
সব চাহিদা পূ্র্ণ করেছিস দূর থেকে কিবা দৃষ্টির
আড়ালে থেকে, নিঃশব্দে নীরবে ।
নয়তো প্রলয়কর ঝড়ে উড়ে গিয়ে পড়তে হতো
এ সমাজের দৃষ্টি থেকে বহু দূরে, কোনও ভাগাড়ে।
বলি,পড়তে হয়নি সেই অবস্থায়,শৈশব থেকে
কখনও বুঝতে দিসনি আছি, ‘অসহায়’।
এ জীবনে যখনি এসেছে ‘দুঃসময়’ অভয় দিয়েছিস,
বুঝেছি অনুভবে!
তারপর ?
অলক্ষ্যে ধরেছিস ছাতা মাথার উপর!
সন্তানের প্রতি মাতৃত্বের দায়,
বুঝি সব মায়েরা এভাবে শোধ করে যায়
সামনে থেকে কিবা দৃষ্টির আড়ালে থেকে!
আজ বলতে কোনও দ্বিধা নেই
তোর উপর অভিমান হতো প্রায়শ
বহুবার তোকে ডেকেও সাড়া না-পেয়ে।
তোর বুকে জড়িয়ে স্নেহ-ভালোবাসার অধিকার
থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে কিবা অভিমানে
তোকে কখনও পুষ্পাঞ্জলি দিইনি ।
এখন বুঝেছি বৃদ্ধ বয়সে এসে
পুষ্পাঞ্জলিটুকু তোর মোটেই প্রাপ্য নয়,
তাই সেটুকু দেবো-না তোকে, কখনও ।
আজ তোকে দিলাম অঞ্জলি যা-দেওয়ার  
মন থেকে, নিংড়ে প্রেম-ভালোবাসা !