গণতন্ত্রে নির্বাচন আসে ও যায় বারবার।
নির্বাচনকেন্দ্র গুলিতে চলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের
লড়াই। সেটি মূলত দ্বিমুখী কিংবা ত্রিমুখী,
অথচ ব্যালট পেপারে প্রায়শ কত প্রার্থীর
মুখ দেখি।
এ বিষয়ে ঘটনার কারণ জানতে অভিজ্ঞ
কাকাতুয়া কে জিজ্ঞেস করা ছাড়া উপায়
কি?
শুনেছি তার মুখ থেকে,‘জয়ের সম্ভাবনাময়
প্রতিযোগীরা ছাড়া বাদবাকিদের অনেকে হয়
নির্দল প্রার্থী কিংবা অনেক ক্ষেত্রে গোত্রহীন  
ব্যক্তির মতো কোনও দলের প্রতিনিধি’।
আরও কি বললো শুনবে নাকি?বললো পাখি,
‘এদের কেহ যদি কোনও মূল প্রতিযোগীর
সহযোগী হয়ে তার পক্ষে খেলতে নেমে ভালো
খেলে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনে,তখন
গণতন্ত্র নীরব দর্শক না-হয়ে করবে কি’?
তাদের খেলতে নামার জন্য এন্ট্রি ফি,সেটি কে
যোগাতে পারে, ভাবছো নাকি?
যদি তেমনি ঘটে,গণ্যমান্য মূল প্রতিযোগীরা,
যারা এদের দাদা কিংবা দিদি তারা এই খরচ
যোগাতেই পারে,ক্ষতি কী।
ভোটে এদের কাজ কি?-সেও ভাবছো নাকি?
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটকেন্দ্র ও গননাকেন্দ্রে
দাদা-দিদিদের একছত্র আধিপত্য বিস্তারের
চেষ্টায় এদের চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?
গননাকেন্দ্রে প্রার্থী কিংবা তার এজেন্টদের
অভিযোগ কখনো শোনোনি কি?
গণনা কেন্দ্রের বাইরে এসে তারা গলা ফাটিয়ে
যতই চিৎকার করুক না কেন, গণনা কেন্দ্রে
তাদের সম্মতি ও সাক্ষরের পরে ফলাফল
ঘোষণা ও সেটি খাম-বন্দী হলে তারপর
সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এর জন্য
নির্বাচন কমিশন কিংবা আদালতের হস্তক্ষেপ
ছাড়া গত্যন্তর কি?
কাকাতুয়া বললো,‘আদালতে গেলে জটিল
প্রক্রিয়ার শেষে ফলাফল ঘোষিত হতে যে
সময় লাগে সেই অবসরে গঙ্গা পদ্মা দিয়ে
গড়ায় বহু জল’।