প্রজাপতি বসেছে পারিজাত ফুলে  
কোনদিকে চাহে নাকো মুখ তুলে।
মধু আহরণে মজেছে সেই পতঙ্গ    
ফুলও ছন্দে দোলে।আহা কী রঙ্গ!


তৃষ্ণার্ত উট যথা মরূদ্যানে এসে
তৃষা মেটায় নিজে শান্তির আশে।  
কী আনন্দে মজে অলি সহ ফুল  
মাতৃদুগ্ধ দানে জনজাতি বিলকুল।


দৃশ্য-দূষণ ঘটে না জনজাতি দলে
অদ্ভুত বিদ্রূপ এই সমাজেই চলে।
তৃষাতুর শিশু যেই কান্না জোড়ে    
সমাজ-চেতনায় মা লজ্জায় মরে।


জননী যান লোকচক্ষু থেকে দূরে
সমাজ তখনও নির্লিপ্ত ঠুলি পড়ে।      
এই সমাজে পারিজাত বলি প্রদত্ত  
শ্লীলতা হানির দায়ে সবে ঘৃণিত।


বিভ্রান্তি ঘুচবে কবে এই সমাজের
পূজারী হবে সবে সত্য-সুন্দরের।