নির্বাচনের দিনক্ষণ, এ যেন তাদের কাছে
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে স্বাতী নক্ষত্রের আবির্ভাব
তিথির মতো।
সুক্তিদের চাহিদা খুব সীমিত। এই তিথিতে
ওরা বারি বিন্দু প্রত্যাশী, গভীর সাগর থেকে
ভেসে ওঠে আনন্দে সাগর জলে হা-করে
ভাসতে থাকে।
জানো,একটি বারি বিন্দু মুখগহ্বরে পৌঁছলেই  
ওদের প্রত্যাশা পূর্ণ ।তারপর অনতিবিলম্বে
ফিরে যায় সাগর গহ্বরে।
এ সমাজে দরিদ্রতায় ডুবন্ত, চাতক পাখিদের
মতো তৃষ্ণার্ত মানুষদের অবস্থা, ওদের মতো।
‘ললাট লিখন’,এই ব্যাধিগ্রস্ত মানুষেরা খোঁজে
কবে আসবে ভোটের দিনক্ষণ।
এই দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে জানতে পারলেই
তারা মেতে ওঠে আনন্দ উল্লাসে।বাবুই পাখির
মতো বাসায় বসে ভাবে, এবার বাবুদের সন্তুষ্ট
করার বিনিময়ে যদি বকশিসের মতো কিছু
উপরি পাওনা বরাতে জোটে।  
এদের সীমিত চাহিদা,একেবারে সুক্তিদের মতো।
অজ্ঞতায় বাণবিদ্ধ এই মানুষেরা,অধিকারের
ভাবনা দুরস্ত, কখনও জানতে চায় না কেন
তারা এতো দুর্দশাগ্রস্ত।
তারা জানে না বকশিসের বিনিময়ে বাবুদের
সন্তুষ্ট করার পরিণাম কী যে ভয়াবহ!দেখো,
তারা সমাজ তরণী কে সাথে নিয়ে ডুবছে
কালাপানি র অতল গহ্বরে।