পাশাপাশি,তবু দুই বিশ্বে কত বৈপরীত্য,
হাসি ও কান্নার মতো।
এক বিশ্বে দেখি নকশি কাঁথা তৈরিতে
ব্যস্ত নারী,কাপড়ে ফোঁড় গাঁথেন রঙ্গিন
সুতোয়,রঙ্গিন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে।
দেখেছি সেই সাথে নিপুণ শিল্পকর্ম।
নকশি কাঁথায় এক লতা,পদ্মা সেতুটির
মতো এগোচ্ছে সফল ভাবেই স্বপ্নকে
বাস্তবায়নের পথে।
দেখেছি সূর্যোদয়,সাগর গর্ভ থেকেই
হেসে রত্ন রাজি নিয়ে ডুবুরিদের মতো
উঠে আসতে।
ভেবেছি,দেশাত্মবোধ ও সবার সমবেত
উদ্যোগ ও আত্মত্যাগ থাকলে সাফল্যের
পথে কে,কতকাল বাধা হয়ে দাঁড়াতে
পারে?
পদ্মা সেতু, স্বদেশ গড়ার পথে বিরাট
স্বপ্ন,বাংলাদেশের সব নারী পুরুষের।
বিশ্বের অন্য কোথাও থেকে অর্থ সাহায্য
না-নিয়েই তারা গড়ছেন এই স্থাপত্য।
দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার অনন্য
নজির।ধীর স্থির ভাবেই দেশ এগিয়ে
যাচ্ছে অগ্রগতির পথে।
দেখছি অন্য এক বিশ্বকে,দূরবীনে চোখ
রেখে। দেখছি সেথায় পঙ্গপালের মতো
আগ্রাসী ক’জন দেশাত্মবোধ কে তুড়ি
দিয়ে উড়িয়ে বসেছে ভোজনে!তাদের
শাসনতন্ত্র যেন কাঁটা-চামচের মতো।
খাদ্য সামগ্রী?
সেই বিশ্বের গরীব মানুষের ঝলসানো
রক্ত-মাংস!দেখছি,কাঁটা-চামচে সেসব
খাদ্যসামগ্রীদের তারা এফোঁড়-ওফোঁড়
করে ছিঁড়ে ফুঁড়ে মুখে পুড়ে দিচ্ছে যেন
আনন্দ উল্লাসে।
ভেবেছি একাকী,মরা আমড়া গাছটায়
ঠেস দিয়ে বসে,দুই বিশ্বে তারতম্য,কী
এক অনন্য নজির,পাশাপাশি!