প্রিয়তমা,
এখানে এক প্রিয় সাংবাদিক বন্ধু
জানতো,এই বিদেশ বিভূঁই এসে
রাত জেগে সাহিত্যের বই পড়া
আমার পরিণত হয়েছে অভ্যাসে।
গভীর রাত।তাতে কী?কে,কবে
সহজে অভ্যাসে টানতে পেরেছে
ইতি?
রোজ গভীর রাতে ফোনে কথা
হতো দু’জনের,দীর্ঘদিন।যতদিন
থেকেছি এখানে এই অভ্যাসের
একরতিও ছেদ পড়েনি কখনো।
সেই গভীর রাতেও সে আমাকে
ফোন করেছিলো বারবার।নিষ্ঠুর
নিয়তি!মুঠোফোনের উপর দিয়ে
গেছে তার অত্যাচার।আমাকে সে
আর পেলো কোথায়?
আমি ঘড়ির কাঁটার মতো একশ
আশি ডিগ্রী ঘুরে সে সময় হয়েছি
কুম্ভকর্ণের শরণাপন্ন।ফোনের রিং
টোন বারংবার বেজে,কে জানে
কখন,হয়েছিল নিশ্চুপ।জানি না,
সেও বিপন্ন বোধ করেছিল কিনা!
বলবো কী তোমাকে,সেই রাতে
আমি ঘুমিয়েছি খুব।পরের দিন
সকালে ঘুম ভাঙ্গলো সময়ে,তবু
বিছানার থেকে উঠতেই করেছি
গড়িমসি।শুয়ে থেকে মোবাইলের
সুইচ অন করে দেখেছি দশটি
মিস কলের শেষে সেটি বিকল
যন্ত্রের মতো থেমেছে।
শোনো,অগত্যা আর কী করি!
তড়িঘড়ি বন্ধুকে ফোন করে
জেনেছি এই দ্বীপরাষ্ট্রে করোনা
ভাইরাসের পাশাপাশি অগণিত
মেঠো ইঁদুর এবং ধেড়ে ইঁদুর
নাকি মূল ভূখণ্ড থেকে এখানে
এসে বসতি গড়তে উঠে পড়ে
নেমে পড়েছে।


    (ক্রমশ)