প্রিয়তমা,
দ্বীপরাষ্ট্রের পরিবেশ কেমন সে কি
জানতে ইচ্ছা করে?তাহলে শোনো,
এই স্খানের নৈসর্গিক পরিবেশ ছিল
অনন্য।ইঁদুরের উৎপাত আগে ছিল
না কখনো।
জানো,উল্কার মতো বহিরাগত বহু
ইঁদুর চার্টার বিমানে চড়ে দ্বীপরাষ্ট্রে
আসায় পরে এই স্থানের পরিবেশও
হয়তো পড়বে হুমকির মুখোমুখি।
তোমাকে বলবো কী এই ভাবনা
উকুনের মতোই কুটকুট করলো
মগজে।সেই নিয়ে আগেও অনেকে
ভেবেছিল,কিন্তু সেসব ভাবনাগুলি
আজও আসেনি কাজে।রাতদিন
বুঝতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি,
বুঝিনি ওরা কিভাবে,আর কেন-ই
দ্বীপরাষ্ট্রে এসে ঠাই নিচ্ছে?
জানো,কৌতূহল চেপে রাখা খুবই
কষ্টকর।তাই সাংবাদিক বন্ধুবরকে
জিজ্ঞেস করে জেনেছি,‘ইঁদুরগুলো
মূল-ভূখণ্ডের রাষ্ট্রের এবং সাধারণ
জনগণের ব্যাপক সম্পদ চুরি করে
আত্মরক্ষার জন্যই চার্টার বিমানে
পালিয়ে আসছে।
ভাবছে দ্বীপরাষ্ট্রের সমুদ্রসৈকতে
এসে ওরা নিশ্চিন্তে বিলাসবহুল
জীবন কাটাবে শেষে।
চোরদের জন্য এরকম নিরাপদ
আশ্রয়স্থল ত্রিভুবনে আর আছে
কি কোথাও?চুরির অপরাধীদের
কেউ আর হয়তো মূল-ভূখণ্ডে
ফিরিয়ে নিয়ে কারাগারে পুড়তে
পারবে না কখনও।
ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রও চুরির বিষয়
সম্পদ হয়তো পুনরুদ্ধার করতে
পারবে না কখনও।
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইঁদুরগুলো
তাই অবিরাম মূল-ভূখণ্ড থেকে
এখানে এসে ভিড় করছে।ফল্গু
নদীর মতোই অবিরাম বইছে
এই চোরাস্রোত।
ওদের সংখ্যাবৃদ্ধি দ্রুত  বাড়ছে
দেখে জনগণের মনেও ছড়াতে
পারে আতঙ্ক।এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্লেগ
ছড়িয়ে পড়তে পারে যখন তখন।
কোভিড ও প্লেগ উভয়ের সাঁড়াশি
আক্রমণে তখন অতিষ্ঠ হতে পারে
সকলের জনজীবন।
ভাবি,প্রশাসন দুর্বল হলে কত কী
ঘটে!চোরদের অবাধে দেশত্যাগের
জন্যও চার্টার বিমান জোটে।
দ্বীপরাষ্ট্রে প্রশাসন হয়তো দুর্ভোগে
ভুগবে যখন তখন।এখনি প্লেগের
সংক্রমণের আশঙ্কায় বাঁশি বাদক
হ্যামলিনের অভাব বোধ করছে
প্রশাসন।
      
              (সমাপ্ত)