দেখছি জঞ্জালের স্তূপ থেকে কত কী বের
হচ্ছে! সে যেন অবিরত তেজস্ক্রিয় শৃঙ্খল
বিক্রিয়ার মতো কোনও ঘটনার কারণে।
এ ঘটনা গুলো ভাবাচ্ছে ঘটছে কি ব্যক্তি,
জনগোষ্ঠী, সমাজ কিবা রাষ্ট্রে দুর্বলদের  
উপর সবলের ক্রমাগত একছত্র আধিপত্য
বিস্তারের মাদকতার কারণে?
দুস্কৃতিরা ম্লান করে দিতে চায় কি মানব
সভ্যতা?
মনে হয় দিগন্তে ক্ষীণ যে আলোর রেখা  
এখনো দেখা যাচ্ছে, অচিরে সে ও লুপ্ত
হবে।
দুস্কৃতিদের ভাব ভঙ্গিমা দেখে মনে হয়
যেন সে ও মুছে গেলে ওদের কী যায়
আসে?
ভাবি, নির্বুদ্ধিতা ওদের ধরেছে কি কষে?
ওদের কর্মকাণ্ড সহ্য করাও যেন কষ্টকর।
দর দর করে ঘাম ঝরছে ললাট বেয়ে!
মনে জমছে বিরক্তির শ্যাওলা।
ভাবি, মানবতার কোনো কথা কি ওদের  
কানে পৌঁছয় না?
ভাবিয়ে তুলছে ওদের উদ্যত পদক্ষেপ।
বুঝি না জনগণ ওদের এ কাজে সম্মতি
দেয় কি করে?
ভুললে কি চলে জনগণ প্রকৃত ক্ষমতার
উৎস। বহির্বিশ্ব থেকে দুস্কৃতিরা আসেনি।
জনগণের যদি সম্মতি না-থাকে তবে কি
ওরা এ কাজ আদৌ করতে পারে?
পাই-না ভেবে ওদের কর্মকাণ্ডে ধরণীর
হৃৎপিণ্ড থেকে কত রক্ত ঝরলো!
ইচ্ছা হয় দেখি এ ধরণীর বুক ব্যবচ্ছেদ
করে তার হৃৎপিণ্ড ও শিরা উপশিরাগুলি
অক্ষত আছে কিনা, নাকি সে সব ফেটে  
নির্গত রক্ত জমাট বাঁধছে দেহের ভেতর!