এখন সমগ্র বিশ্ব মনুষ্য সৃষ্ট ভয়ঙ্কর
বিপর্যয়ের মুখোমুখি।দুর্বৃত্তরা তাদের
কালো হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে নাকি?
যদিও এ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
তাদের চিরাচরিত অভ্যাসের বিলুপ্তি
হবে নাকি?
পরিণাম? সুস্থ মানুষেরও খাম বন্দি
মানসিক যন্ত্রণা বাড়ছে বৈকি।তুষের
আগুনের মতো জ্বলছে ধিকিধিকি!
বলবো কী মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ নয়  
এমন মানুষ তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া
দুষ্কর, আর এ কাজ করবে কে? যারা
সুস্থ ছিল তারাও  দু'দেশ বিভাজনের
কাঁটাতারের বেড়ার মতোই মানসিক
বিকলাঙ্গের লক্ষণ রেখাটি ছুঁতে বাধ্য
হলো।
বাতাসে কান পেতে শোনো। বিশ্ব জুড়ে
চলছে যেন কুমীর ডাঙ্গা খেলা দু'বেলা।
যুদ্ধের উন্মাদনা শুনে কান ঝালাপালা।
তবুও দুর্বৃত্ততা এ নিয়ে কি এতো টুকু
ভাবতে বসে আছে?
ভয়ঙ্কর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাটুকু  
জেনে বুঝেও কি তাদের কুকর্ম থেকে
সরে আসে? চলছে অবিরাম রাশিয়া
এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ। তারা কেউ কি
আর যুদ্ধ থামাতে পিছিয়ে আসে?
বিশ্বসংবাদের মতো এটা উঠে এলো
খবরের শিরোনামে। সমগ্র বিশ্ব যেন
এখন ভয়ে আতঙ্কে ঘামে।
ওই দেখো,জাগছে ভিসুভিয়াস।কাঁপছে
মাটি থর থর। কালো ধোঁয়ায় ছেয়েছে
আকাশ।
বিশ্ব জুড়ে পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ
অজস্র মারণাস্ত্রের উপর বসেও যেন
দুর্বৃত্তরা ডেকে আনছে সে বিশ্ব যুদ্ধের
সম্ভাবনা।
জানি না, মানসিক বিকলাঙ্গ না-হলে
বেলুন কে আলপিনে বিঁধে ফাটানোর
মতো কে,কবে বিদ্ধ করতে চায় তার
মানবিক মূল্যবোধ,লঙ্ঘন করতে চায়
অপরের সহ্যের সীমা?
খলনায়করা বিভিন্ন রাষ্ট্রে এ যাবত
কত না কুকর্ম করে বেরালো! বহু
সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট
করলো। তবুও থামলো না।একটা
সুবৃহৎ রাষ্ট্রকে খণ্ড-বিখণ্ডিত করেও
তারা ক্ষান্ত হলো না। সে দেশের
সীমান্তপ্রদেশে গিয়ে আজও একই
উদ্দেশ্যে ঘাঁটি গড়তে ব্যস্ত। নিয়ত
দিচ্ছে তার সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে
নানান প্ররোচনা।
একবারও বলে না, ‘আমরা এ কাজ
আর করবো না। বাকীরা ও বিরত
থাকো এ কাজ থেকে। কেউ আর এই
ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠো না।
অনেক হলো ক্ষয় ক্ষতি। এসো,এখন
যতদূর সম্ভব,সকলে মিলে করি তার
মেরামতি।