গল্পের গরুকে নিয়ে তোমাকে
বলবো কী?চারিদিকে আজব
ব্যাপার ঘটছে কত কী!
শোনো,গরু যে গাছেও চড়তে
পারে,বলো,সেকথা শুনেছ কি
কখনও?
জানো,মাঝে মাঝে এমন গল্প
লোক মুখে ফোয়ারার মতোই
বাতাসেও বেশ ছড়িয়ে পড়ে।
অদ্ভুত ব্যাপার,ক’জন আর
তার সত্যতাকে যাচাই করে।
তবে ভাবতে ভালোই লাগে
যখনই দেখি বিভিন্ন ক্লাবে,
চায়ের দোকানে,বাসে কিংবা
ট্রেনে বসে জনগণ মুখরোচক
খাবারের মতো এসব খবর
খায় বেশ চেটেপুটে।
বলছি শোনো,সমাজের বিশিষ্ট
ব্যক্তিদের সুরক্ষায় ত্রুটি নিয়ে
আছে বহু প্রশ্ন চিহ্ন।সে সবও
আজকাল দেখি মাঝে মাঝেই
খবরের শিরোনামে উঠে আসে।
সত্যিই তো,এই সব ত্রুটি কি
সাজে?
জানো,অদ্ভুত লাগে যখন শুনি
খবর পরিবেশনের সময় বহু
সাংবাদিক সে সব পরিবেশন
করে দায়সারা।বলো,সমাজের
সুরক্ষা নিয়ে ভাবে কি তারা?
সব খবর পরিবেশনের আগে
খবর গুলো কাড়া,না আ-কাঁড়া
সেও দেখে না তারা।
ভাবো,গণতন্ত্রের এ কী দশা!
বলো,সাধারণ বুদ্ধিতে কী বলে?
কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির চলমান
গাড়ীর দরজা খোলা থাকলে
তার সুরক্ষার ব্যাঘাত ছাড়াও
পথচারীরা বিপত্তির সম্ভাবনা
থেকে কি তখন মুক্ত থাকতে
পারে?
জানি না,সে গাড়ীর ড্রাইভার
এবং যাত্রী হিতাহিত জ্ঞানশূন্য
কিনা!সেটি না হলে কেউ কি
গাড়ীর দরজা খোলা অবস্থায়  
গাড়ি চালাতে পারে?  
শুনেছি একটি অদ্ভুত ব্যাপার।
ড্রাইভার ও যাত্রীর অবহেলার
কারণে এমনি একটি ঘটনায়
যাত্রীটি আহত হওয়ার সাথে
সাথে তার সুরক্ষাকে নিয়েই
চারদিকও হোলো তোলপাড়।
সেই খবরে কেঁপে উঠলোও
রাজদরবার।
ষড়যন্ত্রের কটু গন্ধও ছড়ালো
বাতাসে।সে প্রশ্নটি লাগলেও
লাগতে পারে গোয়েন্দাদের
কাজে।তবে দরজা বন্ধ ছিল না
কেন,সে প্রশ্নটি চাপা পড়লো
যেন খবরের ভাঁজে ভাঁজে।
ভাবছো,বিশ্ববন্দিত কোনও
গণতন্ত্রে হয়তো এসব সাজে!