প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যেই মিটে গেল      হিসাব নিকাশ টা পাল্টে গেল    
                    দেশ নেতাদের চাওয়া জুটলো না
সাহেবদের বিপদ কাটবে যখন     কেন ক্ষমতা ছাড়বে তখন
                    দেশ নেতারা সেটাই ভাবলো না।


দুখিনী দেশ-জননী কাঁদেন যখন     বীর সন্তানরা চুপ থাকে তখন?
                    ওদের শরীরে থাকতে রক্ত তাজা
সশস্ত্র বিপ্লব চললো যথা তথা       সেই নিয়েই শাসকের মাথাব্যথা    
                     তারা আইন করলো দিতে সাজা।          


তারা রাওলাট আইনের সূত্র ধরে    সাজা দিতে চাইলো বিনা বিচারে  
                 সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধে ছিল না মানা
ধর্মঘট হলো সেই আইন ঠেকাতে    দেশ জুড়ে সত্য-সুন্দরের ভাবনাতে
                  শাসক ছাড়ালো অত্যাচারের সীমানা।


প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চললো যখন         যুদ্ধ সেনার চাহিদা ছিলো তখন
                  সে কাজে সাহেবরা পাঞ্জাবী দের নিলো
চাষ আবাদে লোক জোটেনি      পতিত থাকলো তাদের জমি
                  সেনাদের ঘরে দুঃসহ অবস্থা হলো।


যখন ওদের দুঃখ চরমে           সাহেবদের প্রতি ঘৃণা মরমে
                 রাউলাট আইন যোগাল ইন্ধন
নেতারা ছিলেন পথে পথে         ইংরাজরা প্রতিবাদ ঠেকাতে
                প্রতিবাদী নেতাদের দিলো নির্বাসন।


প্রতিবাদে অমৃতসরে শোভাযাত্রা   সাহেব দেখালো অ-সহিষ্ণুতার মাত্রা
                    ওরা গুলি চালালো সেই স্থলে              
এবার পথে পথে মানুষের ঢল    পথ ঘাট সবই ব্যস্ত সচল  
                  সমাবেশে মানুষ গেল দলে দলে।
          
জেনারেল ডায়ার ভীষণ রেগে     কুকর্ম ঘটালো জালিয়ানওয়ালাবাগে  
                   মারলো নিরস্ত্র মানুষ দের গুলিতে        
দেশ জুড়ে তখন জ্বললো আগুন    অচিরে বাড়লো সেটা বহু গুন
                  কবিগুরু পদক ফেরালেন সাথে সাথে।


হিংসা ছড়ালো পাঞ্জাব,গুজরাট,বাংলাতে    গান্ধীজী নেই হিংসার পথে
                    আন্দোলন তুলে নিলেন সাথে সাথে।
বিপ্লবীদের রক্তক্ষয় কমলো বটে         আন্দোলন কি থামলো তাতে ?            
                     দহন জ্বালা মেটে কি কোন মতে?