দেশমাতার দুখে বিদীর্ণ নেতাজী রাখলেন তার জীবনটা বাজি
তিনি চান মায়ের দুঃখ ঘোচাতে
শল্য চিকিৎসক চিকিৎসার আগে তার যন্ত্রাদি সাজায় আগে ভাগে
যুদ্ধের সরঞ্জাম ও নেতাজীর ভাবনাতে।
যুদ্ধে চাই সৈন্য,অস্ত্র,রসদ খানি সেই সব সংগ্রহে ব্যস্ত তিনি
এদিকে ইংরাজরা খুঁজে বেরালো তাকে
তিনি এদেশ ওদেশ দিলেন পাড়ি সাহেব তার টিকিও ধরতে নারি
সেসব জুটিয়ে নিলেন ফাঁকে ফাঁকে।
সেই দিনগুলো বেশ ঘটনাবহুল প্রথমে ছদ্মবেশে গেলেন কাবুল
তারপর মস্কো হয়ে জার্মানির বার্লিন
সেথায় বিদেশ মন্ত্রী রিবেনট্রপ তার সাথে আলোচনা টপাটপ
ভাবলেন দেশের ফিরবে কি সুদিন?
তাদের বেতার কেন্দ্র থেকে ইথারে ভাসলো দিকে দিকে
স্বদেশ বাসীদের প্রতি তার আহ্বান
ঝাঁপিয়ে পড়ুন স্বদেশবাসী হাতে তুলে নিন লাঠি অসি
কণ্ঠে ধ্বনিত হোক দেশের জয়গান।
তার কণ্ঠে ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি চারদিকে উঠলো রণরনি
মানুষ যেন স্বদেশ-মন্ত্র পেল ভাই
সাহেবদের কম্পিত দেহমন জানে না কী ঘটবে কখন
চারদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখলো তাই।
পিছনে ফিরে যাই একটুখানি সামরিক ষড়যন্ত্রে ছিলেন যিনি
সেই রাসবিহারী বসুকে খুঁজে দেখি
ছদ্মবেশে রাসবিহারী জাপানে এসে কী করলেন তিনি সেই দেশে
সেই খবরটা রাখতে আছে বাকি।
বিপ্লবী সংগঠন গড়ার দিকে নজর দিলেন তিনি শুরু থেকে
সম্মেলন করলেন টোকিও এবং ব্যাঙ্ককে
তিনি ভেবে চিন্তে সব দিক গড়লেন ভারতীয় স্বাধীনতা লিগ
বিপ্লবী সংঘটন ছড়ালেন দিকে দিকে।
জাপানের কাছে যুদ্ধে পরাজিত এই উপমহাদেশের বন্দী ছিল যত
তাদের সভাপতি ও সৈন্যাধ্যক্ষ হলেন।
নিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি গড়ে তুললেন আজাই হিন্দ বাহিনী
তাদের আহ্বানে নেতাজী টোকিও গেলেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা লিগের মহাসভা নতুন সভাপতি নিয়ে একটু ভাবা
নেতাজীকে সেই পদে বসালো তারা
লিগের নতুন সভাপতি করলো তাকে তখন উদ্দীপনা ছড়ালো চারদিকে
তার ‘দিল্লী চলো’ ডাকে জাগলো সারা।